• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
নরসিংদীতে করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ 

জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সর্ম্পকে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

নরসিংদীতে করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ 

  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০২০

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন দেশের মানুষ। তার প্রভাব দেশ জুড়ে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নরসিংদী জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ৬ শতাধিক প্রবাসী কে হোম কোয়ারাইন্টাননে নিতে পেরেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের সাথে সম্বমনয় করে জেলা পুলিশ, সির্ভিল সার্জন, সাংবাদিক,সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে আতঙ্ক নয় এখন নরসিংদীর মানুষ সচেতন হয়েছে। সচেতনার ফলে নরসিংদীতে এখনও কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। যার ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নরসিংদীর মানুষ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার গ্রহণ এবং প্রেস বিফিং করার পর সাধারণ মানুষ অনেক সচেতন ও করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সর্ম্পকে প্রেস ব্রিফিং করে জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন জানায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ও প্রবাসীদের খুঁজে বের করতে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ছয়শতাধিত জন বিদেশে ফেরত প্রবাসীকে ১৪ দিনের জন্য আলাদা রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিভিল সার্জন এর সমন্বয়ে আমরা একটি ইমারজেন্সী সেল গঠন করেছি সেখানে তাদের মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে করোনা আক্রান্তর কোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে এই ফোন নাম্বার যোগাযোগ করলে তাদের বাসায় আমাদের চিকিংসা টিম চলে যাবে।

এছাড়া ছয়টি পৌরসভায় ও ছয়টি উপজেলায় রেসপন্স টিম গঠন করা হয়ে। এবং চিকিৎসকদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগী আনা নেওয়ার জন্য নৌ এ্যাম্বুলেন্স সহ মোট দশটি এ্যাম্বুলেন্স  প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে প্রতিদিন প্রচারণা চলছে।

জেলা প্রশাসন ইত্যেমধ্যে বেলাব উপজেলায় একটি ১০০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ছয়টি উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ বেড প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়া শিবপুর উপজেলা মা ও শিশু  হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে।  

এছাড়া বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালেও করোনা আক্রান্ত রোগী রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ৬৪ টি মোবাইল র্কোট পরিচালনা করেছি। দ্রব্যে মূল্যর দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে এবং সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে দোকানপাট বন্ধ রাখতে  প্রতিদিন পুলিশ, সেনাবাহিনীর সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে নরসিংদীর ছয়টি উপজেলায় কাঁচাবাজার এবং ঔষদের দোকানে সামনে বৃত্তাকার গোল চিহৃ দাগ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যাতে মানুষ ১.৮ মিটার দুরে থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পন্য বা ঔষধ ক্রয় করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার গ্রহণ এবং প্রেস বিফিং করার পর সাধারণ মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে।

এছাড়া,করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে ১০ হাজার হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসন। শনিবার নরসিংদীর শীলমান্দি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ১০জন হত দরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে বিতরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। বিতরণকৃত খাদ্রসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ২কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু, একটি সাবান ও একটি করে মাস্ক।

করোনার বিভিন্ন পদক্ষেপ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রায় ১০ হাজার হত দরিদ্রের মাঝে আমরা খাবার বিতরণ শুরু করেছি। এ কার্যক্রমটি অব্যহত থাকবে। কোন দরিদ্র মানুষ না

খেয়ে থাকবে না। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরাও গরীব মানুষের পাঁশে দাড়ালে আমরা সহজেই এ করোনা ভাইরাসের মোকাবেলা করতে সক্ষম হব। আল্লাহর রহমতে আমাদের নরসিংদীতে এখনও কোন করোনা রোগী পাইনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads