• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ভেড়ামারায় করোনা সন্দেহ আশরাফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ভেড়ামারায় করোনা সন্দেহ আশরাফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ মার্চ ২০২০

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার নওদাপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।

আজ সোমবার দুপুরের পর করোনা সন্দেহ আশরাফুল ইসলামের জানাজার শেষে ভেড়ামারার ফারাকপুর গোরস্থাান দাফন সম্পন্ন হয়।

এসময় ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালালসহ প্রশসানের কর্মকর্তা, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্দেহ করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হযেছে।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি তিন দিন ধরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি করানোভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকারের রোগত্ব্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়ম মেনে লাশ দাফন করা হবে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, সকালে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ সময় চিকিৎসকেরা দেখতে পান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি আশরাফুল ইসলাম (৪২) পেশায় ইজিবাইকচালক ছিলেন। শহরের চৌড়হাস এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার তাঁর সর্দি দেখা দেয়। এরপর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। সকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার গ্রামের বাড়ির ভেড়ামারা শহরের নওদাপাড়া এলাকায়।

আরএমও তাপস কুমার সরকার বলেন, ইজিবাইকচালকের পরিবারে কোনো বিদেশি নেই বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। কিন্তু ইজিবাইক চালানোর সময় করোনা ভাইরাসের বাহক কারও সংস্পর্শে যেতে পারেন। এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। এরপর লাশ সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কয়েকজনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়িতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীকে পুলিশসহ পাঠানো হয়েছে। নমুনার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটি লকডাউন করা থাকবে।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ জানান, আশরাফুল ইসলামের জানাজার শেষে ভেড়ামারার ফারাকপুর গোরস্থাান দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads