স্কুল বন্ধ থাকাকালীন ৭ হাজার টাকা মাসিক ভাতা প্রণোদনা হিসেবে দাবী করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সিরাজগঞ্জের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে পুলিশের বাধায় সংক্ষিপ্তভাবে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন চত্বরে জেলার প্রায় তিন শতাধিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক-কর্মচারি সামাজিক দূরত্ব মেনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
শিক্ষক-কর্মচারিরা মানববন্ধনের জন্য রাস্তায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে পুলিশ এসে তাদের বাধা দেয়। ফলে শিক্ষকরা সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন চত্বরেই পোস্টার হাতে দাড়িয়ে যান।
এ সময় কিন্ডারগার্টেন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক বরকতুল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাসের সক্রমণরোধে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় ২ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে সিরাজগঞ্জের ৭০০ কিন্ডারগার্টেন। এতে ১০ হাজারেরও অধিক শিক্ষক-কর্মচারি কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কিন্ডারগার্টেনের মালিকরাও অর্থসংকটে পড়ে শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন, বাড়ীভাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের বেতনের উপরই এসব প্রতিষ্ঠান চলে। দুই মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বেতন শিক্ষার্থীদের বেতন আদায়ও সম্ভব হচ্ছে না। করোনার দুর্যোগকালে কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই স্কুল বন্ধ থাকাকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতন, রেশনের ব্যবস্থা, স্কুল ভবনের ভাড়া মওকুফ ও স্বল্পসূদে ঋণে প্রদানের দাবী জানান তিনি।
শহরের জুয়েলস অক্সেফোর্ডের প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম জুয়েল জানান, শিক্ষক পরিবারগুলো বাঁচাতে সরকারী প্রনোদনা হিসেবে মাসিক সাত হাজার টাকা, রেশনিং ব্যবস্থা, স্কুল ভাড়া মওকুফসহ স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদান জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিটি পরিবার অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ওষুধ কেনার মতো টাকাও তাদের হাতে নেই। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু কন্যা যেমন শিল্প কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি নজর দিয়েছেন তেমনি বেসরকারী এসব শিক্ষকদের প্রতিই নজর দিবেন বলে শিক্ষকরা দাবী জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিন্ডারগার্টেনের তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারি তাদের দাবী সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে অংশগ্রহণ করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক-কর্মচারিদের মানববন্ধনের আমাদের কাছে কোনো অনুমতিপত্র আসেনি। এ কারণে তাদের মানববন্ধন কর্মসূচি করতে দেয়া হয়নি।
