• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ভোলায় ঝড়ো হাওয়া কোথাও বৃষ্টিপাত; চরফ্যাশন ও মনপুরায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ভোলায় ঝড়ো হাওয়া কোথাও বৃষ্টিপাত; চরফ্যাশন ও মনপুরায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

  • ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ মে ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুরো ভোলা জেলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কোথা্ও হালকা কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভোলা সংলগ্ন মেঘনা তেতুলিয়ায় অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বিচ্ছিন্ন ২১ চরের মানুষদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে । বিশেষ করে চরফ্যাশনের ঢাল চরে কোনো আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০টি ট্রলারে করে সেখানকার মানুষদের চরফ্যাশনের মূল ভূখন্ডে আনা হচ্ছ।

ঢালচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান মঙ্গলবার বিকাল ৪টার মধ্যে প্রায় চার হাজার লোককে চরফ্যাশনের দক্ষিন আইচা আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। অবশিষ্টদের ও নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে প্রায় আট হাজার মানুষের বাস।  

ভোলা জেলা প্রশাসক দপ্তরের ঘূর্ণিঝড় আম্পান নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান জানান আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, মনপুরার বিভিন্ন চরের লোকজনদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।

পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১'শ চারটি সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেয়ার

পাশাপাশি ৯২ টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় এলাকায় সকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে সিপিপি সদস্যরা। 

উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড এ সকল মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে সহায়তা করা হচ্ছে। 

একই সাথে সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ৪০০টিসহ সর্বমোট ১১০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান,  ঘূর্ণিঝড়ে সাবাইকে  সতর্ক  করার  পাশাপাশি  নিরাপদে  আসতে  সিপিপি  ও রেডক্রিসেন্টের ১০ হাজার  ২০০ স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছে। এছাড়াও  আশ্রয়  কেন্দ্রে  মানুষদের  জন্য  খাবারের  ব্যবস্থা  ছাড়াও  নগদ  টাকা,  শুকনো  খাবার ও শিশু খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়কালীন সময় ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এ তিনটি ধাপেই কাজ করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads