• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ইসলামপুরে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ভাঙ্গন-ফাটল, বড় ক্ষতির শঙ্কা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ইসলামপুরে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ভাঙ্গন-ফাটল, বড় ক্ষতির শঙ্কা

  • জামালপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০২০

যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধের ৪টি স্থানে ধসে গেছে।

বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় হুমকি মুখে পড়েছে পার্থশী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ ঘাট থেকে কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে হুমকির মুখে পড়বে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ফসলি জমিসহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ।

জানা গেছে,যমুনা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানী বাজার থেকে সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পর্যন্ত ৩টি পয়েন্টে ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১০ সালে শুরু হয়ে ২০১৭ সালে শেষ হয় এই প্রকল্পের কাজ। এমপি ফরিদুল হক খানের ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় বাঁধটি নির্মাণ করায় যমুনার ভাঙ্গন হ্রাস পেয়েছে।

এবারো বাঁধের ৪টি পয়েন্টে নদীগর্ভে ধসে গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামপুরের পাথর্শী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ ঘাট থেকে কুলকান্দি হার্ট পয়েন্ট পর্যন্ত ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ ঘাট ও শশারিয়াবাড়ি,খানপাড়া এবং কুলকান্দি ইউনিয়নের কুলকান্দি এলাকায় যমুনার বামতীর সংরক্ষণ বাঁধের ভাঙ্গন দ্রুত প্রতিরোধ করা না হলে বসতবাড়ী ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যমুনার বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নদী ভাঙ্গন ও অকাল বন্যার হাত থেকে ইসলামপুরের ৬টি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চলের মানুষ রক্ষা পাবে।

ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম.জামাল আব্দুন নাসের বাবুল জানান, যমুনার তীব্র ঘুর্ণিস্রোতে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ধ্বস দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ পানি উন্নয়ন বোড কতৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। ধসে যাওয়া অংশে দ্রুত সংস্কার করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads