• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
আম্পান তাণ্ডবের পর থেকে কলারোয়ায় বিদ্যুৎ নেই, ফোন চার্জ দিতে দোকানে ভিড়

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

আম্পান তাণ্ডবের পর থেকে কলারোয়ায় বিদ্যুৎ নেই, ফোন চার্জ দিতে দোকানে ভিড়

  • কে এম আনিছুর রহমান, সাতক্ষীরা
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০২০

সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জ দিতে জেনারেটরের দোকানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। ইঞ্জিন ভ্যানযোগে জেনারেটর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতেও এরূপ কার্যক্রম চালিয়ে চাচ্ছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে গত বুধবার থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিদ্যুৎ বিছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। আম্পানের পর সরকারি দপ্তরগুলোতে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও বাড়িঘর ও বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা বাজারের শফি ডেকোরেটার তার নিজের দোকানে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ব্যাটারিতে চার্জ দিচ্ছেন।

কাকডাঙ্গা বাজারের মকলেছুর রহমান বলেন, প্রতিটি বাটন মোবাইল ফোন ও টার্চ ফোন চার্জ দিতে নিচ্ছে ৩০ টাকা, টর্চলাইট চার্জ দিতে নিচ্ছে ৩০ টাকা।

তিনি আরো বলেন, এই দূর্যোগের সময় ৩০ টাকা অনেক, যদি ১০ টাকা করে চার্জ দিতে নিতো তাহলে সবার সুবিধা হতো, ৩০ টাকা অনেক হয়ে যায়। আবার অনেক এলাকায় মোবাইল ফোন চার্জ দিতে ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রতিদিন ২০০-৩০০ মোবাইল চার্জ দিতে নিয়ে আসে এলাকার মানুষ। এতো ফোন এক সাথে চার্জ হচ্ছে, ঠিক করে রাখেন কিভাবে, কার কোনটা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফোন চার্জ দিতে আসা বাগাডাঙ্গা গ্রামের শামিম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, মোবাইল ফোন বা টর্চলাইট চার্জ করতে দিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতিটা ফোন ও লাইটে নাম ও নম্বর লিখে রেখে দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, জরুরি প্রয়োজন থাকায় ৩০ টাকা দিয়েই তার মোবাইলটি চার্জ করে নিয়েছেন। তবে টাকা একটু কম নিলে সকলের সুবিধা হতো।

এমনই অবস্থায় কলারোয়ার বিভিন্ন বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকেই এখন ফোনের ব্যাটারি চার্জ দেয়ার সাময়িক ব্যবসায় নেমেছেন।

কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা মোড়, বোয়ালিয়া, ফকিরপাড়ার মোড়, শাকদাহ, যুগিখালী, বুইতা, মাদরা, গয়ড়া, বুঝতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে লম্বা লাইন।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরী) প্রকৌশলী মাসুম আহম্মেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরা জেলায় ১ হাজার ৭৮২ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়েছে বহু স্থানে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ লাইনে সাতক্ষীরার প্রতিটি উপজেলায় লাইন সংস্কারের কাজ চলছে। তবে কলারোয়া উপজেলায় সব থেকে বেশী বিদ্যুৎ লাইনে ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও আমাদের কর্মীরা রাত- দিন কাজ করে যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে দুই এক দিনের মধ্যে লাইন দেয়া হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads