• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ১২

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ১২

  • নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে পুকুরে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইউপি সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করছে। এলাকায় লুটপাট ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নবীনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, উপজেলার সাহেবনগর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আজ বুধবার সকালে রিপন মিয়া ও নান্নু মিয়ার দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন- রব্বানি মিয়া (৪৫), কাউছার মিয়া (৩৮), কালু মিয়া (৪২), হাফিজ মিয়া(৪৬), জাহাঙ্গীর মিয়া(৪১), আওয়াল মিয়া (৪০), সামদানি (৩১), শামিম মিয়া (২৯), ওবাইদুল্লাহ(৩৩), এনাম মিয়া(৫০)।

এ ঘটনায় নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনায় জড়িত শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আতিকসহ উভয়পক্ষের ১২ জনকে আটক করেছেন। এলাকায় লুটপাটের ঘটনা ও সাবির্ক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে পুকুরে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহেবনগর বাজারে হোসেন আলি বাড়ির মোহাম্মদ রাব্বানি মিয়াকে মাইনুদ্দিন বাড়ির আপন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার লোকজন মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকালে দুই পক্ষের লোক জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads