কুমিল্লার দেবিদ্বারে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির লাশ নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানরা বসেছিলেন সারা রাত। সহানুভূতি জানাতেও আসেনি কেউ। ১২ ঘন্টা পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার উদ্যোগে দাফন করা হয়। এই ঘটনাটি ঘটেছে দেবিদ্বার উপজেলা বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান বাগুর পশ্চিম পাড়ার মৃত সৈয়ত আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৫)। তিনি গত কয়েক দিন যাবৎ জ্বর-ঠান্ডা ও কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর কেউ এগিয়ে আসেনি। মৃত্যুর পর পুরো রাত লাশ নিয়ে বসে থাকেন অসহায় স্ত্রী সন্তানরা। সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারের উদ্যোগে লাশের গোসল, জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।
লিটন সরকার জানান, একজন মানুষের মৃত্যুর পর লাশ দাফনে তার আত্মীয়-স্বজনরা এগিয়ে আসবে না এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা রেড জোন খ্যাত দেবিদ্বারে এ সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে ১০১ জনের একটি টিম গঠন করেছি।