• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কাশিয়ানীতে ৫০০ শিশুর সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বাড়িতে পৌছে দেয়া হচ্ছে পুষ্টিকর খাদ্য

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ জুন ২০২০

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে করোনার মধ্যে জম্ম নেয়া ৫০০ সুবিধা বঞ্চিত শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাড়িতে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

প্রসূতি মা পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলেই পুষ্টি পাবে শিশু। এ ভাবেই সুস্থ সবল হয়েই বেড়ে উঠবে আগামী প্রজম্ম। সদ্য নবজাত শিশুর মায়ের পুষ্টির চাহিদা পুরণ করতেই কাশিয়ানী উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদ এ উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর হিল্টু পদস্থ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, করোনার মধ্যে কাশিয়ানী উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫শ’ টি শিশু জম্ম গ্রহণ করেছে। করোনা মহামারীর মধ্যে এসব শিশুকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে ও তাদের সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে শিশুদের বাড়িতে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদ। সরকারি বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৮ হাজার টাকার সাথে উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রতি মাসের বেতনের একটি অংশের দান করা টাকায় শিশুর বাড়িতে হরলিকস, চাল, ডাল, লবন, তেল, ফল, সবজি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

এসব খাবার খেয়ে প্রসূতি মা পুষ্টি পাচ্ছেন। শিশুরা মায়ের বুকের পর্যাপ্ত দুধ পেয়ে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে। তারা এ মহামারীর মধ্যে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের প্রসূতি মাকে এ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। করোনা মহামারীর মধ্যে যত শিশু জম্ম নেবে, প্রতিটি শিশুর মা এ সুবিধ পাবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছে।

তিনি আরো জানান, মা ও শিশুর চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রসূতি মায়ের কাছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর হিল্টু জানান, এ সময়ে জম্ম নেয়া শিশুদের আত্মীয়-স্বজনরা তাদের দেখতে আসতে পারছেন না। এ অবস্থায় তারা নবজাতকের বাড়িতে যাচ্ছেন। পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। এতে সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের মা ও শিশু উপকৃত হচ্ছে।

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ কাইয়ূম তালুকদার বলেন, ‘প্রসূতি মা সুস্থ থাকলে শিশুও সুস্থ থাকবে। এ ধারণা থেকে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের মা ও শিশুকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করবে। ভবিষ্যৎ প্রজম্ম সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে। সুস্থ সবল জাতি গঠনে এটি ভূমিকা রাখবে।

কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল গ্রামের প্রসূতি লিমা বেগম, পারুলিয়া গ্রামের লাকী বেগম ও শিফা বেগম বলেন, করোনার মধ্যে আমাদের সন্তানরা জম্ম গ্রহন করেছে। তাদের মামা বাড়ির থেকে কেউ তাদের দেখতে আসতে পারেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও সহ অন্যন্যরা আমাদের বাড়িতে এসেছেন। আমাদের সন্তানদের দেখেছেন। এছাড়া তারা আমাদের জন্য উন্নতমানের খাবার নিয়ে আসছেন। এ খাবার খেয়ে আমরা সুস্থ আছি। সন্তানরা বেশি বেশি বুকের দুধ পাচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ফোন দিলেই তারা আমাদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছে। আপতত আমাদের কোন রোগবালাই নেই। আমরা সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুবই ভাল আছি। উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads