• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
এবার সাফারি পার্কে নারী বনরুই অবমুক্ত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

এবার সাফারি পার্কে নারী বনরুই অবমুক্ত

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০২০

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির একটি চাইনিজ বনরুই (প্যাঙ্গলিন) অবমুক্ত করা হয়েছে। পাশ্বর্বতী কালিয়াকৈর উপজেলার একটি কারখানার সীমানা প্রাচীরের ভিতরে ঢুকে পরে বনরুইটি। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে বন বিভাগের লোকজন তা উদ্ধার  করে। পরে বনরুইটি শনিবার বিকালে সাফারি পার্কের গভীর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এর আগেও পার্কের এ অঞ্চলে আরো দুটি পুরুষ বনরুই অবমুক্ত করা হয়েছিল। এবারে মুক্ত হলো একটি নারী বনরুই। এ নিয়ে পার্কে ৩টি বনরুই অবমুক্ত করা হলো।

ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, বনরুই পতঙ্গ ভোগি প্রাণী।এরা বিরল ও বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। বনরুই যে কোনো পতঙ্গ খেতে পছন্দ করে।

তিনি বলেন, পিপিলিকা,পিপিলিকার ডিম, উই পোকা,উইপোকার ডিম খেয়ে চলে।  এরা রাতেই আহারে বের হয়। বনরুই খুবই নিরীহ প্রকৃতির প্রাণী। ভয় পেলে বলের মতো গোল হয়ে প্রাণ বাঁচায়। বনরুইয়ের শরীরের আচিল (খোলস/ আচিল/আইশ) খুবি শক্ত। খুবই মুল্যবান এদের শরীরের আচিল/আইশ ও মাংস । এ কারনেই পাচারকারিদের কবলে পড়ে বিপন্ন হচ্ছে বনরুই। 

তিনি আরো বলেন, বনরুই এপ্রিল-মে মাসে প্রজনন করে। এরা ১৩০ দিন গর্ভকালীন সময় পার করে বাচ্চা প্রসব করে। বনরুই সাধারনত কোনো গর্তের ভিতরে বাচ্চার জন্ম দেয়। বনরুই একটি বাচ্চাই জন্ম দেয়। কখনো কখনো দুইটিও দেওয়ার রের্কড রয়েছে। তিনি বলেন আমাদের দেশের পাহাড়ি ও সিলেট অঞ্চলেই  চাইনিজ প্রজাতির বনরুই মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে। 

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান জানান, কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বনরুইটি উদ্ধার করে সাফারি পার্কে নিয়ে আসে। পরে পার্কের গভীর অরন্যে অবমক্ত করা হলো। তিনি বলেন এটি চাইনিজ  প্রজাতির বনরুই। এর আগেও আরো দুটি  একই প্রজাতির পুরুষ বনরুই এখানে অবমুক্ত করা হয়েছে। এবার একটি নারী বনরুই অবমুক্ত হলো। আশা করছি এখানে ব্রিডিং করবে এরা। বনরুইয়ের সংখ্যা বাড়তে পারে সাফারি পার্কে। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads