টাঙ্গাইলের সখীপুরে জনসমাগমস্থলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না অধিকাংশ মানুষ। সকাল হলেই স্থানীয় হাটবাজার, রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে জনস্রোত। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে চলছে দৈনন্দিন চলাফেরা ও কেনাকাটা। অবস্থা দেখলে মনে হবে, সব যেনো আগের মতো স্বাভাবিক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারের ওপর সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও এ উপজেলার বেশির ভাগ লোকজন তা মানছে না।
আজ রোববার দুপুরে সখীপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কারো মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই! বেশির ভাগ লোক মাস্কও ব্যবহার করছে না। কেউ কেউ মুখে না পরে গলায় ঝুঁলিয়ে রেখেছে। জিজ্ঞেস করলে নানা ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার না করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন আইনের যথাযথ প্রয়োগের দিকটি গুরুত্ব না দেওয়ায় করোনার ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রথম দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কয়েকজনকে সামান্য জরিমানা করা হলেও এখন তা আর চোখে পড়ছে না। প্রকৃতপক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সচেতন করা যায়নি। ফলে সখীপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ রোধে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচার প্রচারণাও থেমে গেছে। এদিকে ব্যাটারীচালিত অটো ও সিএনজি অটো রিকশাগুলো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পাঁচ থেকে ছয়জন যাত্রী নিয়ে সড়ক ধাপিয়ে চলাচল করছে।
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো. আলীম মাহমুদ বলেন, ‘সংসারের প্রয়োজনে বাজারে যেতে হয়। নিজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে বের হলেও বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার না করায় ঝুঁকি থেকেই যায়।’
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুস সোবহান বলেন, দুই মাসের বেশি সময়ে সখীপুরে শিশু নারী-পুরুষ মিলিয়ে ২৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফেরা। এদের মধ্যে ১৩জন পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থবিধির মানার বিষয়টি প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিশ্চিত করতে হবে। তারপরও নিজ থেকে সচেতন না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’