• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
৩ মাস পর জানা গেলো অপহৃত নয় আত্মগোপনে ছিলেন সলঙ্গার হায়দার

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

৩ মাস পর জানা গেলো অপহৃত নয় আত্মগোপনে ছিলেন সলঙ্গার হায়দার

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ জুলাই ২০২০

ঋণের দায়ে ৩ মাস আগে আত্মগোপন করেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বনবাড়িয়া পেচর পাড়া গ্রামের মৃত ফজলার রহামানের ছেলে হায়দার আলী (৪৫) । হায়দার অপহৃত হয়েছেন দাবি করে তার স্ত্রী রিনা খাতুন গত ৭ এপ্রিল হায়দার আলীর চাচাতো ভাই ও বিমাতা ভাইদের নামে সলঙ্গায় থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। উদ্ধারের পর জানা গেলো তিনি আসলে অপহৃত হননি, ঋণের দায়ে আত্মগোপনে ছিলেন।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে থানার উপ-পরিদশক শামিনুল ইসলাম শরিফুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহযোগীতায় সোমবার সকালে ৩মাস আত্মগোপনে থাকা ওই ব্যক্তিকে সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ হায়দার আলী একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। বিভিন্ন এনজিও ও ব্যবসায়ীদের কাছে ঋণগ্রস্ত হয়। এনজিও ও ব্যবসায়ীরা টাকার জন্য চাপ দিলে নিজেই গত ২৫/০২/২০২০ ইং তারিখে নিজ বাড়ি থেকে আত্মগোপন হয়ে যায়। হায়দার আলীর স্ত্রী তার থানায় জিডি করেন। আত্মীস্বজন বাড়ি খুজে না পেয়ে গত ০৭/০৪/২০২০ ইং তারিখে হায়দার আলীর চাচাতো ভাই কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে একটি অপহণ মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী রিনা খাতুন। মামলার পর থেকে প্রযুক্তির সহযোগীতায় পুলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালান করে। সোমরার সকালে ৩মাস পর সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবির অপহৃত হায়দার আলীর বরাত দিয়ে জানান, হায়দার আলী একজন মৎস্য ব্যবসায়ী ছিল। ব্যবসা করতে করতে তিনি ঋণগস্ত হয়। পরে পাওনাদারদের চাপে নিজেই আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তিতে তার স্ত্রী রিনা খাতুন হায়দার আলীর চাচাতো ভাই ও বিমাতা ভাইদের হয়রানি করার জন্যই থানায় মামলা দায়ের করেন। উদ্ধারকৃত হায়দার আলীকে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads