• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কালকিনির কামার পল্লী

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কালকিনির কামার পল্লী

  • কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০২০

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মাদারীপুরের কালকিনির কামাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন দা, বটি,চাপাতি,ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে। এসব সরঞ্জাম নতুনভাবে তৈরি এবং পুরনোগুলোতে শান দিতে ব্যস্ত কারিগররা। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এমন ব্যস্ততা। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্রেতা কমে যাওয়া,কয়লা, লোহাসহ কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হচ্ছেনা কামার দের। কিন্তু পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করছেন কামাররা। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তাদের জিনিসপত্রের কেনা-বেচা বেড়ে যায়। এ থেকে অর্জিত টাকায় সারা বছরের খোরাক জোগাড় করেন। অথচ বছরের বেশিরভাগ সময়িই কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা একপ্রকার বেকার সময় কাটান।

কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরি তৈরি এবং পুরোনো অস্ত্র শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। দম ফেলার ফুরসৎ নেই তাদের।
প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে কামারদের ভালো ব্যবসা হয়। বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে দেড়শ টাকা থেকে আড়াইশ টাকা।

দা, বটি, ছোরা, চাকুর পাশাপাশি মাংস বানানোর কাজের জন্য গাছের গুঁড়ির চাহিদাও বেড়েছে ব্যাপক। স্থানীয় স্ব-মিলে গাছের গুঁড়ি কিনতে অনেকে এখনই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন কশাইসহ অনেকে। বর্তমানে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় মিলছে এসব গাছের গুঁড়ি।

অভি,শাহিন,কামরুলসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতারা জানান, কয়েক দিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে প্রয়োজন চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বটি ও ছুরি কিনতে। তবে গতবছরে এসব জিনিসের যে দাম ছিল তার চেয়ে এবারে দাম খানিকটা বেশি।

কালকিনি কাঁচা বাজারের কামার কালাচান দাস বলেন, সারাবছর আর এসব জিনিসের তেমন আর কাজ হয় না বললেই চলে। তবে ‘প্রতি বছর কোরবানির ঈদ এলেই আমাদের দা, বটি, চাকু ও ছুরি তৈরির কাজ বাড়ে। কিন্তু এবার করোনার জন্য ক্রেতা তিন ভাগের এক ভাগ আছে। আগের মত ন্যায্য দাম ও দিতে চাচ্ছেনা অনেক ক্রেতা।

পারপাড়া এলাকার কামার নিভাস চন্দ্র দাস, শ্রীধাম কর্মকার জানান, কয়লা ও লোহার দাম খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় খানিকটা বেশি দামে এসব জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে। সব জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় আমাদেরও কাাঁমাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সরকার যদি আমাদের কম সুদে লোনের ব্যাবস্থা করে দিত তাহলে এ শিল্পকে আমরা আরও এগিয়ে নিতে পারতাম।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads