• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
টাঙ্গাই‌লের বাসাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

টাঙ্গাই‌লের বাসাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত

  • সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০২০

টাঙ্গাইলের বাসাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বাধা প্রদান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি দেওয়ার অভিযােগে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই চেয়ারম্যা‌নের নাম হাবিবুর রহমান চৌধুরী। তি‌নি বাসাইল উপ‌জেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সং‌শ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মােহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষ‌রিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়ে‌ছে। বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন বাসাইল উপ‌জেলার কাউলজানী ইউনিয়নের একটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি প্রদান করায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়ােগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে; সেহেতু টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মাে. হাবিবুর রহমান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ -এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী উল্লিখিত ইউপি চেয়ারম্যানকে তাঁর স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলাে। এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমােদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলাে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন বাসাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে এলাহী টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন।

কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় ঘটনাস্থলে আমার সঙ্গে তাঁদের দেখাই হয়নি। অতএব সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও হুমকির প্রশ্নই ওঠে না। তবে কোর্ট শেষ করে পাইপ ভাঙচুর করে চলে যাওয়ার  সময় রাস্তায় আমার সঙ্গে দেখা হয়। তখন তাদের বলেছিলাম যে, আমি ইউএনও মহােদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে রাস্তায় জনস্বার্থে মাটি/বালু ফেলে ছিলাম। তাই কাউলজানী গিয়ে আপনাদের ড্রেজার ভাঙচুর করা ঠিক হয়নি। শুধু এ কথা বলার কারণেই আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে এসিল্যান্ড মিথ্যা নালিশ করেছেন। ওই চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি মূলত ষড়যন্ত্রের শিকার।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads