• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
কচুয়ায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীর মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কচুয়ায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীর মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০২০

চাঁদপুরের কচুয়ায় ঈদের আগের দিন (৩১ আগস্ট) বিলে ঘাষ কাটতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী কামরুন্নাহার মিশুর (১৪) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কচুয়া পুলিশ।

নিহত কামরুন্নাহার উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের বড়-হায়াতপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আবু হানিফির মেয়ে। সে সাদি-পুরা চাঁদপুর এম এ খালেস স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

শুক্রবার বিকালে ওই ছাত্রী বাড়ি সংলগ্ন বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। রোববার দুপুরে তার লাশ পার্শ্ববর্তী একটি খালে দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে কচুয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ওই খালে লাশ ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

সরেজমিনে জানা যায়, কামরুন্নাহার মিশু উপজেলার বড়হায়াতপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মো. আবু হানিফির মেয়ে। সে সাদি-পুরা চাঁদপুর এম এ খালেস স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

ঘটনার দিন বিকালে (শুক্রবার) পার্শ্ববর্তী বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মিশু। ওইদিন সে ঘরে না ফেরায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে বিলে যায়। এ সময় কামরুন্নাহার মিশু হাতে থাকা কাচি, বোল ও গায়ের ওড়না পরে থাকতে দেখে তা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। এ ঘটনায় তার মামা ইকবাল হোসেন শনিবার কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

স্কুলছাত্রীর মা শেফালী বেগম বলেন, আমার মেয়ে খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল। সে কোনো ভাবে মারা যেতে পারে না। তাকে কেউ ধর্ষণ করে লাশ খালে ফেলে যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালী উল্যাহ অলি জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads