মাটির রাস্তা। কাঁদায় সয়লাব। চলাচলে দুরাবস্তার শেষ নেই। প্রায়ই কাঁদায় পড়ে লুটোপুটি খেতে হয় চলাচলকারি নারী-শিশুসহ বয়োবৃদ্ধদের। তাই কোনমতে কাঁদার বিড়ম্বনা এড়িয়ে চলতে রাস্তার ওপর বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা করেছে স্থানীয়রা। এমনই দৃশ্য পটুয়াখালীর বাউফলের রাজাপুর গ্রামের ১৬৬ নম্বর পশ্চিম রাজাপুর উদায়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাটির রাস্তার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের দলিল উদ্দিন মাস্টার বাড়ি থেকে গোসাই কবিরাজ বাড়ি হয়ে জাকেরাবাদ বউ বাজার পর্যন্ত ২.৫০ কিলোমিটার রাস্তার এখন চরম বেহাল। এ রাস্তায় যাতায়াত করতে হয় ১৬৬ নম্বর পশ্চিম রাজাপুর সরকারি উদায়ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং রাজাপুর ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষার্থীসহ ইন্দ্রকূল, পাঙ্গাশিয়া, সিটকা, জাকেরাবাদ, বীরপাশা, আনারকলি ও পাতিলাপাড়া গ্রামের অসংখ্য লোকজনকে। করোনাকালিন এই সময়ে ক্ষিার্থীদের স্কুলের যাওয়া-আসার বালাই না থাকলেও কাছাকাছি আর কোন বিকল্প পথ না থাকায় এসব এলাকার লোকজনের উপজেলা সদর, হাসপাতাল, লঞ্চঘাট ও স্থানীয় হাট-বাজারে যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ সইতে হয়। এই মাটির রাস্তায় কাঁদার বিড়ম্বনা এখন চরমে। বর্ষায় মাটি সরে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে গেলে চলাচলে ওই সব স্থান মাথায় রাখতে গাছের ডাল পুতে কিংবা বাঁশের কঞ্চিতে লাল কাপড় ঝুলিয়ে চিহ্নিত করে রাখতেও দেখা যায় কয়েক স্থানে। রাস্তার ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরী করতে হয়েছে ১৬৬ নম্বর পশ্চিম উদায়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায়। শুষ্ক মৌসুমে এ রাস্তায় ধুলোয় আবার ভিন্ন রকম সমস্যা হলেও বর্ষা মৌসুমের কাঁদার সমস্যাই প্রধান। গুরুতর রোগীর চিকিৎসা সেবায় হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন হলে পরিস্থিতি নেয় ভয়াবহ রূপ। এই রিপোর্ট লেখার মুহুর্তে ( সকাল ১১:১০ টায়) খবর পাওয়া যায় জয়দেব অধিকারি নামে পঞ্চাশোর্ধ একজনের রাস্তার ওপড়ের ওই বাঁশের সাঁকো পাড় হতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে রক্তাক্ত আহত হওয়ার কথা।
জানা গেছে, সম্প্রতি স্থানীয় গোসাই কবিরাজ, ছোবহান খানের ছেলে রবিউল ইসলাম, জাহানারা বেগমসহ কয়েকজন রাস্তায় পড়ে কাঁদায় লুপোপুটিসহ আহত হওয়ার কথাও।
এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় কালিশুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন সিকদার জামালকে তার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে স্থানীয় রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুচ মিয়া বলেন, ‘ এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাকা করণের আবেদন নিয়ে গেলে বেহাল দশা এই রাস্তাটির আইডি নম্বর- ৫৭৮৩৮৪১৮৪ পাওয়া যায়। তবে পাকা করণের কোন আবেদনই যেন কাজে আসছে না।’