• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশায় যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সড়কের গর্তগুলো দিন দিন বড় হচ্ছে। একটু বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে তা পুকুরে পরিণত হচ্ছে। গর্তে গাড়ি আটকে প্রায় সময় সড়ক অচল হয়ে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কুমিল্লা,নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার যাত্রীরা। দ্রুত সংস্কার না করা হলেও আবারও সড়কটি যে কোনো সময় অচল হয়ে পড়তে পারে।

যাত্রী ও পরিবহন চালকদের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময় নষ্ট, যানজট আর গাড়ি বিকল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের অধিকাংশই ভাঙা। এসব স্থানে গাড়ি চলে হেলেদুলে। ধীর গতিতে গাড়ি চলায় সেখানে প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে। বেশি খারাপ অবস্থা বাগমারা বাজার, লাকসাম মিশ্রি ও বাইপাসের দক্ষিণ অংশে। এ ছাড়া লালমাই, হরিশ্চর, লাকসাম উত্তর বাইপাস, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার, সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ থানা এলাকাসহ মাইজদীর বিভিন্ন অংশে ভাঙা রয়েছে। এদিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার। এখানেই বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার তথ্যানুযায়ী, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। এর ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এদিকে যে গতিতে কাজ চলতে এতে চলতি বছর শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবারক উল্যাহ কায়েস বলেন, দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাসে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত দৌলতগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই বাইপাসের কাজটি দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক অধ্যাপক কবির আহমেদ জানান, সড়ক ভাঙা হওয়ায় ঘন ঘন গাড়ি বিকল হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, সড়কের যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন সেখানে সংস্কার করা হচ্ছে। ফোরলেনের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads