• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কক্সবাজারে ভিআইপি একাউন্ট থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের হিড়িক

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

কক্সবাজারে ভিআইপি একাউন্ট থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের হিড়িক

  • মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

কক্সবাজারের বেশ কয়েকজন ভিআইপি রাজনৈতিক নেতা, মধ্যমসারির নেতা, জনপ্রতিনিধি এবং অনেক প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে জেলার বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের হিড়িক চলছে। আবার অনেকে নিকট আত্বীয় স্বজনের নামে একাউন্ট করে টাকা সরিয়ে ফেলছে বলে জানা গেছে। এতে নগদ টাকার সংকটে পড়েছে অনেক ব্যাংক। সম্প্রতি কক্সবাজারে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা নিয়ে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি অনেকে নগদ টাকা উত্তোলন করছে, এতে অনেক ভিআইপি, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী আছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি ইদানিং দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে কিছু ব্যাংকে কিছু ব্যাক্তি বিশেষের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করায় অনেকে ভয়ে নগদ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তবে নগদ টাকা উত্তোলনের পরিমান বেশি হওয়াতে ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট হচ্ছে।

ব্যাংক থেকে জানা গেছে, বিশেষ করে জেলা প্রশাসকের ভুমি অধিগ্রহন শাখা থেকে যাদের নামে টাকা এসেছে বা যার টাকা জমা রেখেছে তারাই বেশি নগদ টাকা তুলছে। এছাড়া জেলার অনেকে গুরুত্বপূর্ন লোকজন তাদের ব্যাংকে থাকা টাকা নিকট আত্মীয় স্বজনের নামে হিসাব খুলে সেখানে পাঠাচ্ছে। তবে নগদ চাহিদাই বেশি।

পরিচয় গোপন রেখে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একজন বলেন, দুদক সবচেয়ে বেশি ব্যাংক একাউন্ট জব্ধ করেছে আমাদের শাখায় তাই এখানে আগে থেকে থাকা অনেক ভিআইপি এবং ব্যবসায়িদের টাকা দ্রুত উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা বেশ সমস্যায় পড়েছি। এদিকে ওয়ান ব্যাংকের এক কর্মকর্তা তাদের শাখাও একই ঘটনা ঘটছে বলে স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে আইনজীবী মাহবুব আলম বলেন, যে কোন অনিয়ম দ‍ুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানকে নাগরিক হিসাবে আমরা স্বাগত জানাই, তবে দেখা যাচ্ছে সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পরে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে যখন আর কিছুই করার থাকেনা। আমাদের প্রশ্ন দুদক এতদিন কোথায় ছিল? এল এ শাখা থেকে গত কয়েক বছর থেকে হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে অনেক মানুষকে দেখেছি নিজের জমি দিয়ে ক্ষতিপূরনের টাকার জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত কোর্ট বিল্ডিংয়ে বসে আছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা মারাত্মক শোষন করেছে তাই এর একটা সুষ্ট বিচার হওয়া দরকার। আর বর্তমানে দেখছি শুধু কিছু রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু জনপ্রতিনিধির বিষয়ে কথা হচ্ছে কেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা কি এর সাথে জড়িত ছিলনা তারা কেন বাদ যাবে?

এদিকে বড় বাজার এলাকার নাছির নামের এক ব্যবসায়ি বলেন, কক্সবাজারে সুদি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা গেলে অনেক অপরাধ কমে আসবে। আমার জানা মতে অনেক ব্যবসায়ি বাধ্য হয়ে সুদে টাকা নিয়ে এখন পথের ফকির হয়ে গেছে যে দোকানের জন্য সুদে টাকা নিয়েছিল সেই দোকান সুদি ব্যবসায়ি দখল করে নিয়েছে এমনও আছে। তাই সে সব জালিমদের বিচার হওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে দুদকের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads