• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সিরাজদিখানে ফসল ফলানো ও পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

সিরাজদিখানে ফসল ফলানো ও পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

  • সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিরাজদিখান উপজেলায়র মাঠে মাঠে নানা ধরনের শীতকালীন ফসলের চাষ হচ্ছে। ক্ষেতে সার দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, পানি দেওয়া, ফসলের যত্ন নেওয়াসহ নানা কাজে ব্যস্ত এখন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। স্থানীয় বসবাসরতদের কাছ থেকে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম এলেই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় এই পুরো চর এলাকা আর বর্ষা শেষে চরের জমিতে শুরু হয় চাষাবাদ।বিশেষ করে শীতকালীন ফসল ফলানো নিয়েই ব্যস্ততায় সময় কাটে এই এলাকার মানুষের। বর্ষায় পলি পড়ায় ফসল বেশ ভালো হয় বলে জানান এখানকার কৃষক।

উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে,এখনো অনেক জমিতে জমে আছে বর্ষার পানি তবে যে সমস্ত জমিজামা শুকিয়ে গেছে সে সমস্ত জমিতে আবাদ হচ্ছে লালশাক, বাঁধাকপি, মূলা, ব্রোকলি, গাঁজর, লাউ, টমেটো, শিম,পালংশাক,ধনেপাতা,লাল শাক, কলমি শাক,পুঁই শাক,সর্ষে শাক ওলকপিসহ নানান প্রকার সবজি। এছাড়ও নদীর পাড় ঘেঁষা জমিতে করা হচ্ছে বোরো ধানের চাষ। তৈরি করা হয়েছে ধানের বীজতলা।

স্থানীয় কৃষক ফুল মিয়া বলেন,পুঁই শাক,কলাই শাক প্রতিদিন তুলে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, বর্ষার সময় বন্যার পানিতে এখানকার বেশির ভাগ জায়গাই তলিয়ে যায়। ফলে জমিতে পলিমাটি পড়ে প্রতি বছরই। এ কারণে ফসল ভালো হয়। পরিচর্যা করলে নানা ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব। তাছাড়া চরের বেশির ভাগ মানুষই কৃষিকাজ করে থাকে। বেশির ভাগ বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে লাউ, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, পালংশাক,লাল শাক, কলমি শাক শিম চাষ করে থাকে।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে নানা জাতের ফসল উৎপাদন করা হয়।বর্ষা মৌসুম শেষে যে জমিগুলো বর্তমানে ভাসা আছে সেগুলতে এখন সবজি চাষ হচ্ছে।এছাড়া এখানকার কৃষকরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরোপুরি বর্ষার পানি শুকিয়ে গেলে জমিনগুলোতে আলু চাষ করা হবে ব্যাপকভাবে। ইতোমধ্যে শীতকালীন ফসলের জন্য সরকারিভাবে বীজ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।

শুকনো মৌসুমে বর্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফসল ফলানোর ব্যস্ততায় থাকে উপজেলার কিছু ইউনিয়নের মানুষ। বিশেষ করে মাছ ধরা, পশু পালন ও কৃষিকাজের উপরই নির্ভর এই চরাঞ্চলের বেশির ভাগ পরিবার। তার মধ্যে জীবিকা অর্জনের জন্য প্রধান হলো কৃষিকাজ। শুকনো মৌসুমে তাই ভালো ফসল ফলানোর সুযোগ নষ্ট করতে চান না চরের মানুষেরা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads