চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরের নবঠিত তাড়াশ পৌরসভার ৩ বছরেও শহরের বাজারের কোন রাস্তাঘাট মেরামত না করায় ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। পৌর বাজারে কাঁচাবাজারে শেড বেদখল থাকায় খোলা মাঠের মধ্যে বসছে কাঁচা বাজার।
সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলনবিলের প্রাণ কেন্দ্র সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা সদরে ২০১৭ সালে নবঠিত তাড়াশ পৌরসভার যাত্রা শুরু হলেও সদরে বাজারের কোন রাস্তাঘাট নির্মাণ, মেরামত উন্নয়ন ও পৌর মার্কেট শেডসহ কোন উন্নয়ন না হওয়ায় মেলেনি নাগরিক সুবিধা। প্রায় ২০ বছর আগের এলজিইডির গ্রোথ সেন্টার প্রকল্পে নির্মিত বাজারের ফিশ, মিট ও মিল্ক লেখা বড় বড় শেড দখল করে নিয়েছে অবৈধ দখলকারীরা। ফলে শেড গুলো দীর্ঘদিন বেদখল থাকায় কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের ব্যবসায়ীরা যেখানে সেখানে রাস্তায় আর মাঠের মধ্যে বসে বিক্রি করছে।
বাজারের চাল ও ফিস ফিডের পাইকারী দোকানের সামনে থেকে ইদগাহের মাঠের মধ্যে বসানো কাঁচা তরকারী বাজারের যাওয়ার রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই কাঁচা বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের পোশাকে কাদা লেগে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দুধের বাজার পুরাতন নিউ মার্কেটের সামনে পরিত্যক্ত শেডে কখনও রাস্তায় তরিতরকারি বাজার ও কখনো ইদগাহ মাঠের মধ্যে বসানো হচ্ছে।
তাড়াশ পৌর বাজারের চাল ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান জানান, চালের ও ফিডের পাইকারি দোকানের এই রাস্তায় প্রতিদিন ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পৌরসভায় একাধিকবার জানিয়েও লাভ হয়নি।
কাঁচা বাজারের ক্রেতা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘পৌরসভার হওয়ার পরে বাজারের কোন রাস্তা কিংবা মার্কেটের উন্নয়নের হয়নি।’
তাড়াশ পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকোৗশলী মোঃ আব্দুল আজিজ জানান, এডিবির অর্থায়নে একটি গণশৌচাগার নির্মাণের কাজ চলছে। বাজারেও সামনে প্রকল্প দেওয়া হবে।
তাড়াশ পৌরসভার সচিব মোঃ আশরাফুল আলম ভূইয়া জানান, চালের পাইকারী বাজারের সামনে রাস্তাটির ভবিষ্যতে প্রকল্প দেওয়া হবে এবং বাজারের শেড ও মার্কেট উন্নয়নের প্রকল্পও হবে।