• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
লালমনিরহাটে ধ্বসে যাচ্ছে বাঁধ, হুমকির মুখে হাজারো বসতভিটা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

লালমনিরহাটে ধ্বসে যাচ্ছে বাঁধ, হুমকির মুখে হাজারো বসতভিটা

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় তিস্তা নদীর বাম তীরে অবস্থিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সলেডি স্প্যার-২ ধ্বসে যাচ্ছে। বাঁধটি রক্ষা করতে না পারলে ভাটিতে থাকা কয়েক হাজার বসতভিটা নদীর স্রোতে ভেসে যেতে পারে। বালুর বস্তা ফেলে রক্ষার প্রাণপন চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ ধ্বসে পড়তে শুরু করে। মুহুর্তে বাঁধটি এক তৃতীয়াংশের বেশি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তিস্তা নদীর বাম তীরের ভাঙন ও বন্যা থেকে রক্ষায় ২০০৩-০৪ সালে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন এলাকায় সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত বছর কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিলে চলতি বছরে সংস্কার শুরু করে। সেই সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ ভাঙনের কবলে পড়ে বাঁধটি। স্থানীয়রা রাতেই মসজিদের মাইকে মাইকিং করে গ্রামবাসী একত্র হয়ে নিজেদের বসত বাড়িতে থাকা বস্তায় বালু ফেলে কিছুটা রক্ষা করেন। রাত যেতে না যেতেই মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পুনরায় ক্ষতস্থানে ভাঙন দেখা দেয়। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে বাঁধটির এক তৃতীয়াংশ ধ্বসে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।

মসজিদের মাইকিং শুনে গ্রামবাসী ছুটে এসে বাঁধটি রক্ষার প্রানপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কিছু জিও ব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের মাধ্যমে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাঁধটি রক্ষায় ব্যর্থ হলে ভাটিতে থাকা কয়েক হাজার বসতভিটা নদীর ¯্রােতে ভেসে যাওয়ার শ্বঙ্কায় কান্নার রোল পড়েছে নদী পাড়ে। পাশ্ববর্তি গ্রামের মানুষজনও সহায়তার জন্য ছুটছে বাঁধের দিকে। বাঁধটি রক্ষায় শিশু কিশোররাও নেমে পড়েছেন বালুর বস্তা নিয়ে।

এ দিকে বাঁধটি রক্ষায় সহায়তা করতে এবং  বিলিন হলে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ঘটনাস্থলে প্রস্তুত করা হয়েছে আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। তারা নদীপাড়ে পৌছে প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

স্থানীয় মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মতিয়ার রহমান মতি বলেন, রাতে হঠাৎ বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। মসজিদের মাইকে মাইকিং করে ডাকলে গ্রামবাসী নিজের বাড়ি থেকে বস্তা এনে বালু ভর্তি করে ডাম্পিং করে কিছুটা রক্ষা করেছেন। সকালে আবারো তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ফলে গ্রামবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীর সহায়তায় বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বাঁধের এক তৃতীয়াংশের অধিক ধ্বসে পড়ে নদীতে বিলিন হয়েছে। বাঁধটি রক্ষায় ব্যর্থ হলে নদীর গতিপথ পরির্তন হয়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি নদীর স্রোতে ভেসে যাবে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন  বলেন, সলেডি স্প্যার বাঁধটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। গ্রামবাসীকে নিয়ে রক্ষার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। তিনি নিজেও নদীপাড়ের উদ্দেশ্যে রহনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads