• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে গৃহবধূ, হারালেন লাখ টাকা!

ফাইল ছবি

সারা দেশ

বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে গৃহবধূ, হারালেন লাখ টাকা!

  • কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ অক্টোবর ২০২০

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে পরে মোসলেমা (২৫) নামের এক গৃহবধূ হারালেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম মিজানুল হক।

প্রতারনার স্বীকার ওই গৃহিনী উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বাইয়াসূতি গ্রামের সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

গৃহবধূ মোসলেমা জানন, ৬ অক্টোবর দুপুর ওই গৃহবধূ ব্যবহৃত বিকাশ মোবাইলে ০১৮৭১৬৯৫৬৭৩ নম্বর থেকে ফোন করে অজ্ঞাত এক প্রতারক। ওই প্রান্ত থেকে বলা হয়, গৃহবধূ বিকাশে ভুল করে ১০ হাজার টাকা চলে যাওয়ায় তার বিকাশ নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেটি পূনরায় খুলতে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লাগবে। গৃহবধূ প্রতারকের প্রতারণার ফাঁদে পরে এনআইডি নম্বর দিয়ে দেন। পরে লাইনটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর দেড় ঘন্টা পর দুপুর আড়াইটার দিয়ে প্রতারক ০১৮২২১০৮৯৫৭ নম্বর থেকে আবার ফোন দেয় ওই গৃহিনীকে। তখন তাকে বলা হয় তার বিকাশ নম্বরটি চালু করতে হলে ০১৪০৭৯৮১৮৪৮, ০১৬০৯৬৫৬৮৮৬ ও ০১৬০৯৬৫৬৭৮২ এই তিনটি নম্বর টাকা পাঠানোর জন্য, যা পূনরায় ফেরত পাঠানো হবে বলে আশ্বাস প্রদান করে প্রতারক। গৃহবধূ সরল বিশ্বাসে প্রতারকের প্রতারণায় পরে প্রথমে ৮০ হাজার ও পরে ৩০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু পরবর্তীতে ওই নম্বরগুলোতে ফোন দিলেও প্রকারকরা তা রিসিভ করেনি।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম মিজানুল হক জানান, এই প্রতারণার বিষয়গুলো দেশে নতুন নয়। গণমাধ্যমে প্রতিদিনই এমন প্রতারণার খবর প্রচার হচ্ছে। তারপরও সাধারণ মানুষ প্রতারকদের মিষ্টি কথার ফাঁদে পরে সর্বশান্ত হচ্ছেন। তাই স্থানীয়দের আরো বেশি সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি কোন বিকাশ সংক্রান্ত সন্দেহ থাকলে স্থানীয় এজেন্ট বা থানায় জানানোর কথা বলেন। আর অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads