• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

তাড়াশে নির্বিচারে চলছে পাখি শিকার

  • মনিরুল ইসলাম, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ অক্টোবর ২০২০

সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলায় নির্বিচারে চলছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার। পেশাদার ও সৌখিন শিকারীরা প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পাখি শিকার করে বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্য বিক্রি করলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

স্থানীয়রা জানান, শীতের আগমনী বার্তায় বিলের তলায় ও ফসলি জমিতে খাদ্যের সন্ধানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসছে এ অঞ্চলে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু মানুষ বিভিন্ন কৌশলে প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করছে।

তারা বলেন, এখন বিল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। বছরের আশ্বিণ, কার্ত্তিক ও অগ্রহায়ন মাসে চলনবিলে ডাহুক, কোরা, ঘুঘু, বক, রাতচরা, পানকৈড়, তৃশুল, বালিহাঁসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বেশি দেখা যায়। আর এ সময় বিলে পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য পাওয়া যাওয়ায় বিপুল সংখ্যক পাখি বিলে খাদ্য সংগ্রহে এসে থাকে। এ সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিকারীরা জাল পেতে, বিষটোপ, বড়শিতে মাছ গেঁথে ও ফাঁদ পেতে নির্বিচারে এসব পাখি শিকার করছে। বিশেষ করে বর্তমানে উপজেলার তালম ও দেশীগ্রাম ইউনিয়নে এ শিকারীদের দৌরাত্ম বেশি দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও যেসব স্থানে পাখিরা খাদ্য অন্নেষণে আসে সেখানে সাত সকালে কিম্বা রাতে পেশাদার শিকারীরা পাখি শিকারের উপকরণ নিয়ে বিলে নেমে পড়েন। তারা নানা কৌশলে পাখি ধরে খাঁচায় ভরে হাট-বাজারে বিক্রি করছে। আবার অনেক সৌখিন শিকারী এয়ারগান দিয়ে প্রকাশ্য দিন-দুপুরে পাখি শিকার করে ভুড়িভোজে মেতে উঠছেন।

তালম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহম্মেদ বলেন, আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলি মাঠে ফাঁদপেতে পাখি শিকার করা হচ্ছে। আবার এসব পাখি গুল্টা বাজারে ফেরী করে প্রকাশ্যেই বেচাকেনা চলছে। প্রকারভেদে প্রতিজোড়া পাখি ৮০-২০০ টাকায় বিক্রিও হচ্ছে। পাখি শিকার বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আসিক বলেন, যেকোন প্রজাতির পাখি শিকার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমি নতুন যোগদান করার কারণে বিষয়টি অবগত ছিলাম না। তবে, পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads