• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কেরানীগঞ্জ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কেরানীগঞ্জ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০২০

"মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার" এ স্লোগান কে সামনে রেখে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্দ্যোগে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) জিনজিরা পিএম পাইলট স্কুলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জিনজিরা ইউনিয়নের ১,২,৩,৪,৫ নং ওয়ার্ডের( ১নং বিট) জনসাধারনদের সচেতনতা মূলক সভায় জিনজিরা পি.এম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রভাষক- নিহার আফরোজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মোঃ হুমায়ূন কবির। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জিনজিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকু, প্রবীন রাজনীতিবিদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ সেলিম, কেরানীগঞ্জ গ্রাজুয়েট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ম.ই মামুন। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জিনজিরা পিএম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দীক, জিনজিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী মোঃ মোশতাক হোসেন, মোঃ নাসির উদ্দিন, জাহীদ শরীফ বাপ্পী, মো: সিয়াম জিনজিরা ১,২,৩,৪,৫ নং ওয়ার্ড মেম্বারগনসহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ হুমায়ন কবির বলেন, একটা দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করতে গিয়ে পুলিশবাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারীরা যেন তাদের সমস্যার কথা পুলিশের কাছে সরাসরি খুলে বলতে পারেন তার জন্য প্রতিটি থানাতে আলাদাভাবে নারীও শিশু ডেস্ক খোলা হয়েছে । নির্যাতিতাদের সাপোর্ট দেয়ার জন্য আমাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে। পুলিশ হচ্ছে প্রথম বিচারক, পুলিশ এর কাছে আপনাদের অভিযোগ তুলে ধরবেন, আমরা আপনাদের অভিযোগ সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্ত আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের শাস্তি যেমন মৃত্যুদন্ড তাই বলে কেউ মিথ্যা মামলা করবেন না। মিথ্যা মামলা করলে তার শাস্তি ৭ বছরের জেল। আপনাদের যে কোন সমস্যায় ঢাকা জেলা পুলিশ আপনাদের পাশে আছে। সবার কাছে অনুরোধ, আপনার শিশুটি কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশছে তা দেখার দায়িত্ব আপনার। ধর্ষণ বিরোধী সচেতনতা পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। যে কোন ধরনের খারাপ পরিস্থিতি দেখলে অবশ্যই থানা পুলিশকে অবগত বা ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

হাজী সাকুর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটা বাবা মায়ের উচিত সন্তানের খেয়াল রাখা, বাবা মায়ের লক্ষ করা উচিত তার ছেলেটা কার সাথে মিশে, তার মেয়েটা শালীন পোষাক পরেছে কি না। আইনের শাসন বাস্তবায়নে প্রয়োজন সুশাসন। সুশাসন নিশ্চিত করতে দরকার পুলিশ বাহিনীর সহযোগীতা। জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সব সময় মডেল থানা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে।

হাজী মোশতাক হোসেন বলেন, ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধী, ধর্ষণরোধে আমাদের সামাজিক ভাবে সচেতন হতে হবে। আমাদের বোনদেরও শালীন হতে হবে, আজকাল দেখা যায় ফেসবুকে এক শ্রেনীর কুরুচিপূর্ণ নারী বিভিন্ন অশালীন অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে পুরষদের প্রভাবিত করে। যদিও এটা ধর্ষণের একমাত্র কারন না। তারপরেও এটা বন্ধ করতে হবে। সরকার ইন্টারনেট কে সহজলভ্য করে আমাদের উন্নয়নের জন্য কিন্তু একশ্রেনীর অসাধু মানুষ ইন্টারনেটের অপব্যবহার করছে। আমার মনে হয় ফেসবুককে দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখা উচিত। এটা বন্ধ রাখলেও কুরুচিপূর্ণ মানুষদের অপরাধ অনেক কমে যাবে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন সফল নারী। তিনি দেশের আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। শুধু তাই নয়, কেউ যদি ধর্ষণের চেষ্টা করে তার সাজা ১০ বছর কারাদণ্ড।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads