• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ভূরুঙ্গামারীতে স্বত্ব দখলীয় জমিকে সামরিক ভূ-সম্পত্তি দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ভূরুঙ্গামারীতে স্বত্ব দখলীয় জমিকে সামরিক ভূ-সম্পত্তি দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০২০

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রায় ১শ’ একর স্বত্ব দখলীয় জমি সামরিক ভূ-সম্পত্তি দাবি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে জমির মালিকরা। আজ সোমবার সকালে উপজেলার জামতলা মোড় থেকে সোনাহাট স্থলবন্দরগামী সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে জমির মালিক ও বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারী সহ নানা শ্রেণি পেশার কয়েকশো মানুষ অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকের কার্যালয় থেকে উপজেলার বাগভান্ডার থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত আনুমানিক ১৫ কিঃমিঃ সড়কের উভয় পাশের প্রায় ৯৮ দশমিক ৭০ একর জমি তাদের বলে যে দাবি করছে তা সঠিক নয়। আমরা যারা দীর্ঘদিন যাবত এই জমিতে বসবাস করছি আমরাই এই জমির মালিক। জমিগুলো আমাদের নামেই এসএ খতিয়ান ভুক্ত রয়েছে। সামরিক ভূ-সম্পত্তি দাবিকারী কর্তৃপক্ষ সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের ডিসপুট কেসগুলো নামঞ্জুর করে পূর্ববর্তী মালিকদের নামে রেকর্ড বহাল রেখে ডিপি খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্প্রতি সামরিক ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় থেকে জমিগুলোকে তাদের দাবি করে রেকর্ড করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় উপজেলার বাগভান্ডার হতে সোনাহাট এলাকার উপর দিয়ে আসাম বেঙ্গল অ্যাকসেস মিলিটারী রোড নির্মাণের জন্য তড়িঘড়ি করে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও জমির মালিকদের কোন ক্ষতি পূরণ প্রদান করা হয়নি।

তারা আরও বলেন, জমিগুলোতে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করছে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান-পাট নির্মাণ করেছে। এছাড়া ব্যাংক-বীমা অফিস সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। যা উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। ওই জমির উপর উপজেলা শহরের অর্ধেকটা অবস্থিত। এমতাবস্থায় জমিগুলোকে সামরিক ভূ-সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত করা হলে সেখানে বসবাসকারী মানুষদের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হবে পাশাপাশি সমগ্র উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হবে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভূরুঙ্গামারীর বাগভান্ডার থেকে সোনাহাট উপর দিয়ে আসাম বেঙ্গল অ্যাকসেস মিলিটারী রোড নির্মাণের জন্য ৩টি ইউনিয়নের ৫টি মৌজার ৯৮ দশমিক ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। যা সামরিক ভূ-সম্পত্তি হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাষ্টার, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা বেগম মীরা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এছাহক আলী ব্যাপারী, স্বত্ব দখলীয় ভূমি মালিক সমিতির আহ্বায়ক তাইফুর রহমান মুকুল, কাজী নিজাম উদ্দিন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads