• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কুষ্টিয়ায় ৭ বছর পর জমি বুঝে পেলেন চার মুক্তিযোদ্ধা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কুষ্টিয়ায় ৭ বছর পর জমি বুঝে পেলেন চার মুক্তিযোদ্ধা

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০২০

৭ বছর আগে ভূমিহীন ও অসচ্ছল ৪ বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে ১নং খতিয়ানের খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় সরকার। কিন্তু বরাদ্দ পেলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা সেসব জমি দখল করে রাখায় এতদিন নিজেদের নামে বরাদ্দকৃত জমির দখল বুঝে নিতে পারেননি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চার বীরমুক্তিযোদ্ধা। জমির দখল বুঝে পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ঘুরেছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। অবশেষে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নেয়ায় দীর্ঘ ৭ বছর পর সোমবার বিকালে জবরদখলে থাকা জমি বুঝে পেয়েছেন ওই ৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা। কুমারখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহান নিজে উপস্থিত থেকে ওই ৪ বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি বুঝিয়ে দেন।

এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ টি এম আবুল মনসুর মজনু, সার্ভেয়ার, পুলিশসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের নগরকয়া মৌজায় বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিনের নামে ২৫ শতাংশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলীর নামে ১৮ শতাংশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলামের নামে ২২ শতাংশ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেনের নামে ২৫ শতাংশ ১নং খাস খতিয়ানের জমি বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা জামালের জন্য বরাদ্দকৃত জমি মতলেব মোল্লা, ইয়াকুবের জমি শ্রী শ্রী তারক চন্দ্র মন্ডল ও মাস্তান মোল্লা, শরিফুলের জমি মো. বিপুল এবং লোকমানের জমি আকাম উদ্দিন নামক প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক দখল করে রাখেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন বলেন, ‘আমার ৫ ছেলে। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। সরকার ২৫ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেয় বসবাসের জন্য। কিন্তু দখলকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন কেউ আমাদের দখল বুঝিয়ে দেয়নি। আজ এসিল্যান্ড স্যার জমি বুঝিয়ে দিলেন।’

মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘৭ বছর পরে বরাদ্দকৃত জমি ফেরত পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ঘর বানিয়ে পরিবার নিয়ে এখন থেকে এখানে বাস করব।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, ‘৭ বছর পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ১নং খাস খতিয়ানের জমি বরাদ্দ দেয়া হলেও তারা দখল নিতে পারেননি। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে বরাদ্দকৃত জমি আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দিলাম।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads