• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শীত আগমনে বেড়েছে ভাপা পিঠার কদর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

শীত আগমনে বেড়েছে ভাপা পিঠার কদর

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০২০

ধীর ধীরে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে শীত। হেমন্তের বিকেল থেকেই শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতকাল মানে পিঠা খাওয়ার উৎসব। শীতের পিঠাতে রয়েছে গ্রামীণ ঐতিহ্যও। আর এই শীত আগমনের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পৌর শহরের সড়ক বাজারে শুরু হয়েছে ভাপা পিঠা বিক্রির। ভাপা পিঠা ঝাল কখনও মিষ্টিসহ নানা রকমের পদ্ধতিতে তৈরী হওয়ায় এর কদরও বেশ ভালো।

সড়ক বাজারে কথা হয় ভাপা পিঠা বিক্রেতা মো. আবুল হাসেন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, পৌর শহরের মসজিদ পাড়া ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। সংসারে তার ৩ ছেলে ৩ মেয়েসহ ৮ জন সদস্য রয়েছে। গত প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি প্রতি শীত মৌসুমে ৩ মাস সকাল সন্ধ্যা ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন। তার ভাপা পিঠা বিক্রিতেই লোকজন বুঝতে পারছেন শীত আসতে শুরু করেছে। এক কথায় শীতের আগমনী বার্তা দেয় হাসেন মিয়ার ভাপা পিঠা। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে শীত পিঠা বিক্রি।

তবে সড়ক বাজারে তার তৈরী করা ভাপা পিঠা খেতে বিভিন্ন বয়সী লোকজন এখানে আসছেন। এখান থেকে সবাই মজা করে শীত পিঠার স্বাদ উপভোগ করছেন। পিঠার দাম ও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। তবে তার পিঠার মান ভালো হওয়ায় সুনাম রয়েছে এলাকার সবার কাছেই। তার এখানে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে চাকুরিজিবি, ব্যবসায়ী শ্রমিকসহ নানা শ্রেণী পেশার লোকজন পিঠা খেতে আসেন।

পিঠা বিক্রেতা হাসেন মিয়া বলেন, এই পিঠা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে চাউলের আটা দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরী করছেন। পিঠার সঙ্গে থাকছে কাচা মরিচ, ধনিয়া পাতা, নারিকেল ও গুর। ঝাল ও মিষ্টি প্রতি পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয় বলে জানায়। দৈনিক ২০কেজি চাউলের আটার পিঠা তৈরী করে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ২হাজার থেকে ২৫শ টাকার পিঠা বিক্রি হয় বলে জানায়। যাবতীয় খরচ বাদে তার প্রতিদিন ৫ শ টাকার উপর আয় হয়।

তিনি আরো বলেন, মৌসুমী পিঠার চাহিদা এখানে ভাল রয়েছে। শীত বৃদ্ধি পেলে বিক্রি আরো বাড়বে। পুরো শীত মৌসুম চলবে এই পিঠা বিক্রি। তবে পিঠা বিক্রি ছাড়া তিনি অন্যান্য সময় শহরে ফুটপাতে কলা বিক্রি করছেন। কলা থেকে পিঠাতেই ভালো আয় হয় তার। পিঠা ও কলা বিক্রিতেই চলছে তার সংসার। বর্তমানে তার সংসারে কোন অভাব অনটন নেই বলে জানায়। তবে তার এ কাজে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছেন পরিবারের সদস্যরা।

পিঠা খেতে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী মো: মহসিন ও তাজুল ইসলাম বলেন, আগে আমরা বিকালে অন্য কিছু খেতাম। কিন্তু শীত উপলক্ষে পিঠা বিক্রি শুরু করায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভাপা পিঠা খাই। তার পিঠা রয়েছে খুবই সুস্বাদু। আমাদের মতো অনেকেই এখান থেকে পিঠা খাই।

চাকুরিজীবী মোছা: আকলিমা আক্তার বলেন, সারা দিন পরিশ্রম করার পর বাড়িতে পিঠা বানাতে ইচ্ছা করেনা। তাই এখান থেকে সময় সুযোগ হলেই পিঠা নিয়ে খাই।

মো. ফোরকান বলেন, বিকাল হলে হোটেল থেকে কিছু খেতাম। কিন্তু ভাপা পিঠা বিক্রির পর থেকে আর হোটেলে না খেয়ে এখান থেকে পিঠা কিনে খাই। শীত পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads