• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রায়পুরায় শিশুকে নির্যাতন শেষে মৃত ভেবে কচুরিপানায় ঢেকে দেয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

রায়পুরায় শিশুকে নির্যাতন শেষে মৃত ভেবে কচুরিপানায় ঢেকে দেয়ার অভিযোগ

  • রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০২০

নরসিংদীর রায়পুরায় সোহাগ (৯) নামে এক শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের পর মৃত ভেবে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। বর্তমানে শিশুটি নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন জানান তার মামা আব্দুর রহমান।

গতকাল শুক্রবার উপজেলার শ্রীনগন ইউনিয়নের ভেলুয়ারচর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু সোহাগ ওই এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী নবীরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানা গেছে।

তারা হলেন, একই ইউনিয়নের ভেলুয়ারচর পূর্বপাড়ার আবুল হোসেন ছেলে আল আমিন (২৪), শহিদুল্লাহর ছেলে রায়হান মিয়া (২৩), শহিদুল্লাহর ছেলে সোহান মিয়া (১৮)।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় শিশু সোহাগকে মাছ ধরার প্রলোভনে বাড়ি থেকে ডেকে সাবেক শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমের বাড়ির পেছনের নির্জন চরে আনেন আল আমিন। এরপর একই কথা বলে ওই শিশুকে এক ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। পরে আল আমিন ও তার দুই সহযোগি রায়হান ও সোহান মিলে ওই শিশুর দুই পা, হাত ও গলায় রশি দিয়ে চেপে ধরে। এক পর্যায়ে শিশু সোহাগ অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তারা শিশুটি মৃত ভেবে কচুরিপানায় চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই শিশুর গলার আওয়াজ শুনে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।    

শিশু সোহাগ জানায়, রায়হান আমার দুই পা, সোহান দুই হাত ও আল আমিন গলায় রশি দিয়ে চেপে ধরে। তখন বাচাঁর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে দেখি সারা শরীর কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা। পরে স্থানীয় লোকজন আমার শব্দ শুনে এগিয়ে এসে উদ্ধার করেন।

ভুক্তভুগীর মামা আব্দুর রহমান জানান, তারা মৃত ভেবেই সোহাগকে কচুরিপানায় চাপা দেয় এবং  সেখান থেকে পালিয়ে যায়। চিকিৎসা পেয়ে অনেকটাই সুস্থ সোহাগ। তবে ভয়-ভীতি এখনো কাটিয়ে উঠনে পারেনি জানান তিনি।
রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) দেব দুলাল দে বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের খোঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads