• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
আবাসিক এলাকায় ইটভাটা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আবাসিক এলাকায় ইটভাটা

  • কাজী আব্দুল কুদ্দুস, রাজবাড়ী
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর ২০২০

রাজবাড়ীতে আবাসিক এলাকা ও ফসলী জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। কোনো ভাটা মালিকই আইন মানছে না। ভাটার চিমনীর ধোঁয়া ও ছাইয়ে এলাকার শত শত বসতবাড়ি একাকার। হাঁচি-কাঁশিসহ নানাবিধ রোগে আক্রন্ত হচ্ছে নানান বয়সের মানুষ। সেইসঙ্গে ফসলী জমি, গাছের বাগানও রেহাই পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে রাজবাড়ীতে আসেন ফরিদপুর অঞ্চলের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিতা রানী দাস ও নমুনা সংগ্রহকারী টিপু সুলতান। তদন্তকারী দলটি শহরের পশ্চিম ভবানীপুর এলাকার আদর্শ ব্রাদার্স অ্যান্ড ব্রিক্স (এবিবি) পরিদর্শনে এলে খবর পেয়ে ভুক্তভোগীরা উপস্থিত হয়। এসময় তারা তাদের সীমাহীন দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মিতা রানী দাস বলেন, রাজবাড়ীর এবিবি ভাটাটি সম্পর্কে আমাদের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ এসেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটা পরিদর্শন করছি। এবিষয়ে তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

অভিযোগকারী আফজাল উদ্দীন একরাম বলেন, এই ইটভাটাটির কারণে আজ পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ভাটার ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে বাড়ির খাবার-দাবার নষ্ট হচ্ছে। পেটের অসুখ প্রায় লেগেই থাকে। প্রতিনিয়ত হাঁচি-কাঁশিতে পরিবারের সদস্যারা আক্রান্ত হচ্ছে। তাই তিনি, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভাটাটির বর্তমান পরিচালক ফারুক হোসেন জানান, তারা এবিবি ভাটাটি পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন। প্রায় সাড়ে চার একর জমির ওপর ভাটাটি চলছে। প্রতি বছর ১২ লক্ষ টাকায় এটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি দেখাতে পারেন নাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads