মিয়ানমারে আটক ৯ জেলে ফিরেছে। আজ বুধবার বেলা সোয়া ২টার দিকে টেকনাফের ট্রানজিট জেটিতে নিয়ে আনা হয় তাদের। সকাল ১১ টার দিকে মিয়ানমারের মংডু শহরের এন্ট্রি এন্ড এক্সিট পয়েন্টে ২ বিজিবি টেকনাফ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যদের প্রতিনিধি টিম পতাকা বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় মিয়ানমার ৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের অধিনায়ক পুলিশ লে. কর্নেল জাউ লিন অং এর নেতৃত্ব ৭ সদস্যের প্রতিনিধি।
জেলেদের ফিরিয়ে আনতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার জালিয়া পাড়াস্থল টেকনাফ-মিানমার ট্রানজিট ঘাটে থেকে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারের মংডুর উদ্দেশ্যে জলযান দিয়ে রওনা হয়।
তবে এর আগে জেলেদের ফেরত চেয়ে বিজিবি মিয়ানমার কৃতপক্ষকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।
প্রতিনিধি টিমের সদস্য টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, ফিরে আনা জেলেদের প্রাতিষ্টানিক কোয়ারান্টাইন শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
ফিরে আসা জেলে মোঃ ইলিয়াছ জানায়, ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ গুলা পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন নৌকায় কালা মাঝির নেতৃত্বে তারা সাগরে মাছ শিকারে যান। সাগরে একপর্যায়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। নৌকাটি ভাসতে ছিল। ওই সময় হঠাৎ মিয়ানমারের বিজিপি এসে সাগরের মোহনা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।
সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নুরল আমিন বলেন, সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া নয়জন জেলেকে মিয়ানমার থেকে ১৫ দিন পর বিজিবির চেষ্টায় তারা আজ ফিরে আসায় পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
লে. ফয়সল হাসান খান মিয়ানমার হতে ফিরে এসে বলেন, পতাকা বৈঠকে উভয় পক্ষ নাফ নদীতে যৌথ টহল পুনরায় শুরু করতে ঐক্যমত পোষন করেছে। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ- মিয়ানমারের চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের সমস্যা আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করার কথা পুনব্যক্ত করেন। মিয়ানমার হতে ফিরে আসা জেলেরা হচ্ছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের মো: নুরুল আলম (৪৮ ) , ইসমাইল ওরফে হোসেন (১৯), মো: ইলিয়াছ (২১), মো: ইউনুছ (১৬), মো: আলম ওরফে কালু (১১) , সাইফুল (১৭), সলিম উল্লাহ, (২৫) নূর কামাল (১৩) ও মো : লালু মিয়া (২৩) ।