• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
লালমনিরহাটে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

লালমনিরহাটে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা

  • এস. কে. সাহেদ, লালমনিরহাট
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর ২০২০

ভৌগোলিক কারনে দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে হিমালয়ের প্রায় পাদদেশে অবস্থিত ভারত শীমান্ত ঘেষা লালমনিরহাটে প্রথমে শীত অনুভুত হয়। আর এ শীতে জেলায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগে যায়। এবারেও ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন লেপ-তোষকের দোকানের কারিগররা। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। লেপ-তোষকের দোকানে বেড়ে গেছে বেচাকেনা।

জেলা শহরের বিভিন্ন দোকান পাঠসহ হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লাতে এখন পুরো দমে শুরু হয়েছে লেপ-তোষক তৈরির কাজ। এছাড়া লেপ-তোষক ভ্রাম্যমান কারিগররাও এখন হাঁকডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছেদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন এসেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই কদর বাড়েছে গরম পোশাকের।

সকাল হলেই ঘন কুয়াশা আর শীতের আমেজ দেখা যায়। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। সন্ধ্যা নামার পর থেকে প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ শীত নিবারণে নির্ভর করছেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয়েছে ব্যস্ততা।

সরেজমিন শহরের বিড়িআর গেট এলাকায় দেখা যায়, লেপ-তোষকের দোকানে অর্ডার দিতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। অর্ডার গ্রহণ এবং বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তোষকের দোকানিরা। প্রতি বছরের মতো শীতকে সামনে রেখে জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, গ্রামের হাট-বাজারসহ বিভিন্ন অলিতে গলিতে গড়ে ওঠা লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতা সাধারনের আনাগোনা। লেপ-তোষকের মার্কেট ঘুরে কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে, শীত এসেছে।

শহরের বিড়িআর গেট এলাকার লেপ-তোষকের দোকারদার বাদল মিয়া জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে গত ৭মাস দোকানে তেমন কেনাবেচা ছিল না। তবে শীত আসার সাথে সাথে কেনাবেচা বেড়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ লেপ-তোষক বানানোর ওয়ার্ডার দিচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানের ৫জন গারিগর লেপ-তোষক বানানোর কাজ করছেন। তারা দৈনিক আয় করছেন ৮’শ থেকে ১হাজার টাকা। ক্রেতাদের এই আনাগোনা পুরো শীতজুড়ে চলবে বলেও তিনি জানান।
লেপ-তোষক তৈরীর বয়জৈষ্ঠ্য কারিগড় নয়েব আলী জানান, প্রায় ২০বছর থেকে এ পেশার সাথে জড়িত আছি। প্রায় সারা বছরেই কম বেশি কাজ চলে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে কাজ না থাকায় অনেক কঠিন সময় পাড় করেছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads