• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
লালমনিরহাটে ৩ ডাক্তার দিয়ে চলছে ১০০ শয্যা হাসপাতাল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

লালমনিরহাটে ৩ ডাক্তার দিয়ে চলছে ১০০ শয্যা হাসপাতাল

  • এস কে সাহেদ, লালমনিরহাট
  • প্রকাশিত ৩০ নভেম্বর ২০২০

লালমনিরহাটে ৩ ডাক্তার দিয়ে চলছে ১০০শয্যা হাসপাতাল,তত্ত্বাবধায়ক নিজেও দেখছেন রোগী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ
মাত্র তিন জন ডাক্তার দিয়ে চলছে লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগী রেফার্ড করা হচ্ছে অন্য জায়গায়। স্বচ্ছল রোগীরা বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে সেবা নিলেও বিপাকে পড়েছে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের রোগীরা। রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নিজেই শুরু করেছেন রোগী দেখা। তিনি প্রতিদিন তার অফিস কক্ষে বসে হাসাপাতালের অন্যান্য কাজও করছেন, রোগীও দেখছেন।

হাসপাতালের রোগী ভর্তি রেজিস্ট্রার দেখে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ইনডোরে রোগী ভর্তি হয় প্রায় দেড় থেকে ২০০ জন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর রেফার্ড করা হয় গড়ে প্রায় ৪০-৫০ জন। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় প্রায় ১ শত ৫০ জনের উপরে। আউটডোরে প্রতিদিন রোগীর আগমন ঘটে প্রায় ৮শত থেকে ১ হাজার জনের উপরে। ধরলা ব্রিজ নির্মিত হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার রোগীরা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য ছুটে আসছে। কিন্তু হাসপাতালটিতে চলছে ডাক্তার স্বল্পতা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সিরাজুল হক জানান, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে মেডিকেল অফিসারের ১৯টি পদের স্থলে ডাক্তার রয়েছে মাত্র ৩জন। কনসালটেন্ট ১৮টি পদের স্থলে ডাক্তার আছেন মাত্র ৮ জন। মেডিকেল অফিসার ও কনসালটেন্ট-এর চাহিদা পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হয়েছে। তবে যা আছে তাই দিয়ে আমরা আন্তরিকভাবে সেবা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি’।

সরেজমিন তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে গিয়ে আউটডোর রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার দৃশ্য দেখে তার আন্তরিক প্রচেষ্টার সত্যতা পাওয়া যায়।

অপরদিকে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্লিনিকগুলো দৌড়াত্ম বেড়েছে। ক্লিনিক মালিকরা রংপুর অথবা ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনে জেলার সর্বত্র মাইকিং করে রোগী ডেকে আনছে ক্লিনিকে। ফলে রোগী বা রোগীর অভিভাবকদের মোটা অংকের ফিস প্রদান এবং বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার ফি দিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে এবং প্রয়োজনে ক্লিনিকেই ভর্তি হয়ে অপারেশন করতে তারা সর্বশান্ত হচ্ছেন। এরকম অনেক ভুক্তভোগী রোগী ও রোগীর অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, ডাক্তার সংকটে সদর হাসপাতালে সিজার করতে বিড়ম্বনায় পরতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে ক্লিনিকগুলোতে সিজার করতে তারা অর্থনেতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। হাসপতালের নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ অনেকেই ক্লিনিকগুলোর দালাল হিসেবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী এবং তাদের অভিভাবকদের ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়ার জন্য এসব দালালরা নানা ছলছুতায় প্ররোচিত করে থাকে।

চিকিৎসা সেবার এ অবস্থার হাত থেকে লালমনিরহাটবাসীকে রক্ষা করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিদের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads