• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

প্রধানমন্ত্রীর উপহার : স্বপ্নের বাড়ি পাচ্ছেন মণিরামপুরের ২৬২ ভূমিহীন

  • জাহাঙ্গীর আলম, মনিরামপুর (যশোর)
  • প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি ২০২১

‘নতুন ঘর পাতি যাচ্ছি, মনে হচ্ছে যেন আসমানের চাঁদ হাতে পাচ্ছি। আমাদের মতন গরীব-অসহায়গের জন্যি শেখ হাসিনা যে উপকার করতেছে, তার জন্যি আল্লাহ’র কাছে তার জন্য দোয়া করি।’

মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে নতুন ঘর পাওয়ার খবর পেয়ে এমনই আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হুমোতলা গ্রামের আমিরন, ইত্যা গ্রামের চপলা দাসী ও আলগীর হোসেন। সন্তান-সন্ততি নিয়ে তারা ভুমিহীন ও গৃহহীন নতুন ঘরে ঘুমাতে পারবে এ যেন তার কাছে ছিলো আকাশ কুসুম কল্পনা।
শুধু চপলা দাসী নন, নতুন ঘর পেতে যাবার খবর পেয়ে নিবারণ দাস, শামীম হোসেন, জসিমগাজীসহ আবিরন বেগমসহ একাধিক উপকারভোগী অভূতপূর্ব আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করে চোখের আনন্দ অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি।

উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছেন, মুজিব বর্ষে যশোরের মণিরামপুরে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায়, ও দরিদ্র পরিবারের জন্য সরকারী খরচে নির্মাণ করা হচ্ছে ২৬২টি পাকা ঘর। এর মধ্যে প্রথম পর্যায় ১৯৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সেগুলো হলো উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের মাছনা বেগমপুরে ৫৩টি ও হরিদাস কাটি ইউনিয়নের হাজরাইলে মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ে ৫০টি, পৌরসভায় হাকোবা গ্রামে ২৮ টি, কাশিমনগর ইউনিয়নে শিরালি গ্রামে ২৯ টি ও হরিহরনগর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে ২৫ টি ও মশি^মনগর চাকলা গ্রামে ১৪টি ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। নির্মিত ঘরগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে গত ৪ জানুযরি পরিদর্শন এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন প্রকল্প-৩ এর পরিচালক মুহম্মাদ শাহীন ইমরান। তিনি নির্মিত ঘরগুলোর কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ‘গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প’র আওতায় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা মূল্যের ২৬২টি ঘর নির্মিত হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায় ১৯৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। উপযুক্ত খাসজমি পাওয়া গেলে বাকি ঘরগুলোর কাজ শুরু হবে বলে তিনি দাবী করেন।

এই ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার পলাশ কুমার দেবনাথ জানান, উপজেলা ভূমি অফিস জমি নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সেই অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। বাকী ঘরগুলোর নির্মানের জন্য উপযুক্ত খাস জমি পাওয়া জন্য সকল প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান জানান, দুস্থদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে এ সকল ঘরগুলো নির্মিত কাজ প্রায় শেষের পথে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। চলমান ১৯৯টি প্রতিটি ঘরে থাকছে দুইটি কক্ষ, একটি বারান্দাসহ সংযুক্ত টয়লেট, রান্নাঘর ও ইউটিলিটি স্পেস। আগামী ২০ জানুয়ারি ঘরগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর গুলো উদ্বোধনের পর হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads