• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ডজন মামলার আসামি বিএনপির প্রার্থী

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

ডজন মামলার আসামি বিএনপির প্রার্থী

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ জানুয়ারি ২০২১

দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মেয়র প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুণ্ডুর বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি মামলা এখনো বিচারাধীন। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও তার বার্ষিক আয় ও সম্পদের পরিমাণ বেশি। এছাড়া এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীই পেশায় ব্যবসায়ী। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে, দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস। পেশা ব্যবসা ও পরামর্শক। তার বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ৫৩ হাজার, ব্যবসা থেকে তিন লাখ ৮০ হাজার ও পরামর্শ থেকে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার নামে কোনো মামলা নেই। টাকা ও ব্যবসার পুঁজি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৮ টাকা। ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের একটি প্রাইভেটকার রয়েছে। কৃষি জমি রয়েছে ১০ বিঘা। ইলেকট্রিক সামগ্রীর মধ্যে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, খাট, সোফা, ওয়ারড্রব থাকলেও এসবের মূল্য অজানা। কোনো দায়দেনা নেই। তবে হলফনামায় বর্তমান স্ত্রীর নামে সম্পদের কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। বিএনপিপ্রার্থী স্বাধীন কুমার কুণ্ডু পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। টাকা রয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭২১ টাকা। পাঁচ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেটকার আছে। তার স্ত্রীর ২৫ ভরি স্বর্ণ আছে। ইলেকট্রিক সামগ্রীর মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার রঙিন টিভি, ফ্রিজ, এসি ও কম্পিউটার এবং সমপরিমাণ টাকার বিভিন্ন আসবাবপত্র রয়েছে। কৃষিজমি না থাকলেও অকৃষি জমি রয়েছে ৩৭ শতক। আর ওয়ারিশসূত্রে বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন টিনশেড বাড়ি। বিএনপির দলীয় এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোট মামলা রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে ১০টি মামলায় নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। তবে এখনো বিশেষ ক্ষমতা আইনের চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন জানে আলম খোকা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস। বার্ষিক আয় চার লাখ ৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিজমি থেকে ৫৫ হাজার ও ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। নিজের কাছে টাকা রয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ২৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও পাথর রয়েছে। ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রীর মধ্যে টিভি, ফ্রিজ ও ফ্যান এবং আছে ৩০ হাজার টাকার বিভিন্ন আসবাবপত্র। ১০ দশমিক ৫৫ শতক কৃষি আর ৩ দশমিক ৫২ শতক অকৃষি জমির মালিক তিনি। তবে বগুড়া শহরের সূত্রাপুর মৌজায় জোবেদা টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ৮৮০ বর্গ ফুট ফ্ল্যাট কিনেছেন। তার স্ত্রীর হাতে ১৪ লাখ টাকা রয়েছে। ব্যাংকে জমা রাখা আছে সাত লাখ টাকা। এছাড়া দুই লাখ টাকার ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী ও সমপরিমাণ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন প্রার্থী ইমরান কামাল খান। তিনি জুয়েলার্স ব্যবসায়ী। স্বশিক্ষিত এই প্রার্থীর বার্ষিক আয় চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা। তাঁর কাছে টাকা রয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। কৃষিজমির পরিমাণ ৯ শতক। রয়েছে একটি টিনশেড বাড়ি। ইলেকট্রিক সামগ্রীর মধ্যে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান রয়েছে। মূল্য ৫০ হাজার টাকা। খাট-আলমারি সোফা, শোকেস, চেয়ার-টেবিলসহ রকমারি আসবাবপত্র রয়েছে। স্ত্রীর নামে কোনো জায়গা-জমি নেই। তবে ১৫ লাখ টাকার ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। এই প্রার্থীর কোনো দায়দেনা নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads