• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

হালুয়াঘাটে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে টি.এস.বি ব্রিকসের কার্যক্রম

  • হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ জানুয়ারি ২০২১

পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা আর কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বীর দর্পে চালিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার মমিনপুর গ্রামের টি.এস.বি নামে একটি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম। সম্প্রতি সময়ে স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভাটাটি বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে এক আদেশ জারি করলেও অদৃশ্য কারনে রয়েছে তা চলমান। শুধু টি.এস.বি ভাটা নয়, পাশাপাশি উপজেলায় নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে মোট ১৬টি ইট তৈরির প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে ঘুরে এসে মিলে অবৈধ ইট ভাটাগুলো নিয়ে নানা তথ্য। গত ১৩ ডিসেম্বরের ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার স্বাক্ষরিত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি হয় টি.এস.বি ব্রিকস ফিল্ডের উপর। চিঠির আদেশে বলা হয়, ভাটা থেকে ৮শত মিটার দূরত্বে পাবিয়াজুড়ি স্কুল এন্ড কলেজ অবস্থিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সন্নিকটে রয়েছে আরও বেশ কিছু সামাজিক প্রতিষ্ঠান। ভাটাটির মঞ্জুরি পেতে যে সকল শর্ত মানতে হয় তা টি.এস.বি ব্রিকসের নেই। সে কারনে ভাটার সকল স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ প্রদান করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

স্থানীয়রা জানান, টি.এস.বি ভাটা ছাড়াও পাবিয়াজুড়ি স্কুল এন্ড কলেজের ৮শত মিটার দূরত্বে এস.বি.এম ভাটাও অবস্থিত। এস.বি.এম ভাটাটির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

স্থানীয় আরব আলী চৌকিদার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরে উক্ত টি.এস.বি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। গত ৩১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ও হালুয়াঘাট উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবরে স্থানীয় ৭৩ জন গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, ইট ভাটাটি ফসলি জমির উপর অবস্থিত। আবাদী জমির মাটি দিয়ে ইট তৈরি হয় ভাটায়। তাতে এলাকার ফসলি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।

এদিকে ইট ভাটার মালিক সফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, একটি ষড়যন্ত্র মহল নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্যে ভাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন যা আদৌ সত্য নয়। তাদের দাবি, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই পরিচালনা করে যাচ্ছে ভাটার কার্যক্রম।

হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, অবৈধ ইট ভাটাগুলোতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

এদিকে ভাটাটির সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে আইনগত ব্যবস্থার নেয়া হবে বলে জানালেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ-সচিব) ফরিদ আহমেদ।

তিনি বলেন, আমরা টি.এস.বি ভাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। তা না মানলে খুব শীগ্রই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

স্থানীয়দের দাবি, পরিবেশ ও ফসলি জমি রক্ষায় দ্রুত টিএসবি ইট ভাটাসহ সকল অবৈধ ভাটা বন্ধ করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads