• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘বিল্ডিং ঘরে থাকমু স্বপ্নও দেহি নাই’

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

‘বিল্ডিং ঘরে থাকমু স্বপ্নও দেহি নাই’

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ জানুয়ারি ২০২১

সদর উপজেলার চরআশুতোষপুরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বিধবা রাশিদা খাতুন (৭০) ভিক্ষে করে দিন চালান। জগত সংসারে তার কেউ নেই। মাসে আয় এক হাজার টাকা। পলিথিনে মোড়ানো খুঁপড়ি ঘরে বসবাস করেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার তিনি একটি বিল্ডিং ঘর পাচ্ছেন। চোখে-মুখে তার আনন্দের শেষ নেই। তিনি বলেন, ‘বিল্ডিং ঘরে থাকমু জীবনে স্বপ্নও দেহি নাই ; মুজিবের বেটি আমগোরে বিল্ডিং ঘর দিবো চিন্তাও করিনাই। আল্লাহ তাকে হায়াত দারাজ করুন।’ একই প্রার্থনা এলাকার মমতাজ বেগম (৬৫), সামেলা খাতুন, মর্জিনা খাতুন, বিধবা ইয়াসমিন খাতুন, বাছিরুন বেওয়া, তজেম আলী, সামু মন্ডলসহ অনেকের।

‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগানে পাবনায় ১ হাজার ৮৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পাচ্ছেন ‘স্বপ্নের নীড়’। প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে (প্রত্যেকটি বাড়ি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪শ টাকা) মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায় গৃহহীনদের মাঝে দুই শতক জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আগামীকাল শনিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করবেন। পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পাবনা জেলার ৯ উপজেলার ১ হাজার ৮৬টি গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুই শতক জমিসহ সেমি-পাকা ঘর পাবে। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুইটি কক্ষের আবাসন। আরো থাকছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। ইউপি চেয়ারম্যানরা ছিন্নমূল ও ভূমিহীন পরিবারের তালিকা পাঠান সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সেসব তথ্য উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জমি-বাড়ি নেই এমন পরিবারের তালিকা যাচাই-বাছাই করে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। গৃহহীনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘরগুলো যাতে টেকসই এবং মানসম্মত হয় সেজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত তদারকি করছেন। ইতোমধ্যে ঘরগুলো নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্য়ায়ে। পাবনা সদর উপজেলায় ৪৪৯, সাঁথিয়া ৩৭২, আটঘরিয়া ৮৫, ফরিদপুর ৫০, ঈশ্বরদী ৫০, চাটমোহর ৩০, সুজানগর ২০, বেড়া ২০ এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১০টি পরিবার এই স্বপ্নের নীড় পাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads