• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

লালমনিরহাটে আলো স্বল্পতায় শহীদ মিনারে ভুতুড়ে পরিবেশ, ভাষা প্রেমীদের ক্ষোভ

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার একুশের প্রথম প্রহরের পুর্বে আলো স্বল্পতায় শহীদ মিনারে চার পাশ ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ভাষা প্রেমীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকেই উচ্চবাচ্য করেন।

সারাদেশের মতো ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয় ওই উপজেলার শহীদ মিনারটি। এর সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ধোয়া-মোছার কাজ করেন উপজেলার দায়িত্বে থাকা কমিটি। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি আলো স্বল্পতা দেখা দেয়। 

জানা গেছে, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একপাশেই বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে লাইট লাগানো হয়। অপরপাশে ব্যাটারির সোলারের লাইট। কিন্তু সোলারের লাইট রাত ১১টার আগেই চার্জ শেষ হয়ে আলো অনেকটাই কমে যায়। এতে করে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি আলো স্বল্পতায় এক ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

রাত ১২টা এক মিনিটে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। কিন্তু আলো স্বল্পতা দেখে দায়িত্বে থাকা আয়োজকদের কাজের কঠোর সমালোচনা করা হয়। এসময় আয়োজকরা বিষয়টি টের পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা নেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি এসে লাইটের ব্যবস্থা করলে অন্ধকারের থেকে কিছুটা রেহাই মিলে। পরে মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনতা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পরে অনেকটা অন্ধকারেই শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা। 

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) ফেরদৌস আলম, কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উপজেলার নেতাকর্মীরা নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, শহীদ মিনার চত্বরে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় অনেককে চেনা যায়নি। প্রথম প্রহরে অনেকটা অন্ধকারেই  ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ভাষা শহীদদের প্রতি অবহেলা করেছে  বলেও তিনি দাবী করেন। 

সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন টুলু বলেন, লাইট একটু কম ছিল, যার কারণে আমাদের দেখতে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে এটা ঠিক হয়নি। আশা করছি প্রশাসন পরবর্তীতে আর এমন করবে না।  

শহীদ মিনারের উপ-কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান বলেন, দুই দিকে দুটো লাইট দেওয়া ছিল, তাই আর কোনো লাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি।  তবে পরবর্তীতে লাইটিংয়ের ভালো করা হবে বলেও তিনি জানান।  

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান বলেন, সন্ধ্যার পর আলো স্বল্পতার চোখে পড়েনি। কিন্তু রাত ১২টার আগে আলো স্বল্পতা দেখা দেয়। বিষয়টি পরবর্তীতে খেয়াল রাখা হবে বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads