দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশের একমাত্র ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দীর্ঘ এলাকার সড়কে গজে ওঠা টিউমার আজো অপসারণ করা হয়নি। ফলে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।
সরেজমিনে মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী বাসস্ট্যাস্ট থেকে গৌরনদী উপজেলার বার্থী বাসস্ট্যান্ড মহাসড়ক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্নস্থানে বিটুমিন ও পাথরের স্তূপ সড়কে উভয়পাশে একাকার হয়ে ছোট-বড় অসংখ্য টিউমারে রূপ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টিউমারগুলো সড়কের ওপর জেগে উঠলেও তা অপসারণের জন্য সড়ক ও জনপথ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসিনতার কারণে মহাসড়কের টিউমার এখন ছোট-বড় যানবাহন চালকদের কাছে বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে।
এ রুটে নিয়মিত যাতায়াতকারী মোটরসাইকেল চালক এইচএম লিজন বলেন, মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকালে অনেক সময় যাত্রীবাহি পরিবহনের কারণে ছোট যানবাহনগুলোকে সড়কের পাশে যেতে হয়। এ সময় হঠাৎ সড়কের পাশে থাকা টিউমারের ওপর গাড়ির চাকা উঠে গেলে তা (গাড়ি) নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ছোট যানবাহনগুলোকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী একাধিক ট্রাক চালক জানান, অন্য গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে মালবাহী ট্রাকের চাকা টিউমারের উপর উঠে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে মহাসড়কের ভুরঘাটা থেকে বার্থী পর্যন্ত সড়কের উঁচুস্থানগুলো অপসারণ করা হয়েছে। শিগগির বাকিগুলোও অপসারণ করা হবে।
