• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
সড়কের দুইপাশে দাঁড়ানো মূর্তিমান আতঙ্ক!

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সড়কের দুইপাশে দাঁড়ানো মূর্তিমান আতঙ্ক!

  • সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর (টাঙ্গাইল)
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০২১

সখীপুর-গোড়াই-সাগরদিঘী আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইপাশের পুরোনো আকাশমণি, শিশুগাছ, মেহগনিসহ নানা প্রজাতির গাছগুলো অজ্ঞাত রোগে মরে যাচ্ছে। গাছগুলোর মরা ডালপালা পড়ে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সড়কটি দিয়ে এখন অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। এ যেনো সড়কের দুইপাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে মূর্তিমান আতঙ্ক।

জানা গেছে, ১৯৮৩-৮৪ অর্থ বছরে সখীপুর-গোড়াই-সাগরদিঘী সড়ক নির্মাণ করা হয়। তখন গোড়াই থেকে মধুপুরের কাকরাইদ পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়কের উভয়পাশে বিপুল সংখ্যাক শিশুগাছ (যার আদি নাম শিংশপা), আকাশমণি, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা লাগানো হয়। বর্তমানে ওই গাছগুলোর অধিকাংশই মরে যাচ্ছে। মরাগাছের ডালপালা সড়কে চলাচলকারীদের উপরে পড়ে দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোনো কোনো গাছের শিকড়ে বাসা বেঁধেছে পিঁপড়ার দল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের দুইপাশে সবুজের সমারোহ অনেকটাই কমে গেছে। অজ্ঞাত রোগে মরে যাচ্ছে সড়কের সবুজ-শ্যামল গাছগুলো। দীর্ঘদিন ধরে মরে থাকা গাছগুলো না কাটার ফলে নতুন নতুন গাছেও মড়ক দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন হাটবাজারে মরা গাছগুলোর পাশেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মরা গাছগুলো যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে এমন আতঙ্কের মধ্যেই স্থানীয়রা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর গাছগুলো কাটার কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক বর্তমানে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, সড়কের পাশের গাছগুলো পরিবেশ মনোরম করার পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহ করে। তবে বিষাক্ত ধোঁয়া, মাটির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি শোষণ করতে না পারাসহ বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে সড়কের পাশে লাগানো গাছ মরে যেতে পারে। মরে থাকা গাছগুলো চারপাশের সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে, ছড়াচ্ছে ক্ষতিকর ভাইরাস। ধ্বংস করছে জীববৈচিত্র্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মরে যাওয়া গাছগুলো কেটে নতুন গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তা না হলে আরো গাছ আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিত্রা শিকারীর কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।

জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, এলজিইডি অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরসহ সামাজিক বনায়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আমরা বৃক্ষরোপণ অব্যাহত রাখব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads