• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
লাঠি হাতে শতবর্ষী নারী আদালতে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

লাঠি হাতে শতবর্ষী নারী আদালতে

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০২১

বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন মিরজান নেছা (৯৭)। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না তিনি। চলেন লাঠিতে ভর দিয়ে। ছেলে ও ছেলের বউদের মারধরের শিকার হয়ে বিচারপ্রার্থী ওই বৃদ্ধা গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জের আদালতে এসেছেন। গতকাল ছিল তার মামলার রায়ের দিন। দুই গ্রুপের আইনজীবীদের কথা কাটাকাটির সময় বাদীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শতবর্ষী মিরজান নেছা বলেন, আমার বাড়িতে লন দেইখেন আমাকে ছেলেরা কেমন করে মারে। পরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক তার রায়ে মাকে মারধর করায় দুই ছেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড ও এক হাজার করে টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে দুই ছেলেকে জামিন দেয় আদালত। কিন্তু এতে বৃদ্ধা আদালতের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই দুই ছেলের এখনই জেল চান তিনি।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কেয়টখালী গ্রামে স্বামী সমন শেখকে (১০৫) নিয়ে বসবাস করেন বৃদ্ধ মিরজান নেছা। দাম্পত্য জীবনে তিন ছেলে সাত মেয়ে তাদের। কিন্তু এই বৃদ্ধ দম্পতির খোঁজ নেয় না কেউ। বিপুল সহায় সম্পত্তি বৃদ্ধ বয়সে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। চিকিৎসা করার কথা বলে দুই ছেলে জালাল (৪২) এবং জামাল (৫২) ১৩৪ শতাংশ জমি অসিয়তনামা দলিল করে দিতে বলে মা-বাবাকে। এতে রাজি হয় এই দম্পতি। কিন্তু ওই দুই ছেলে অসিয়ত করার কথা বলে ওই দুই বৃদ্ধকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে ভুল বুঝিয়ে মোট ৪২০ শতাংশ সম্পত্তি (যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা) দানপত্র দলিল লিখিয়ে নিয়ে যান। ওই বৃদ্ধ দম্পতির অপর ছেলে কামাল হোসেন। ওই দুই বৃদ্ধ যখন জানতে পারেন তাদের ভুল বুঝিয়ে দুই ছেলে লিখে নিয়েছেন, তখন সম্পত্তি ফিরে চাওয়ায় বািবণ্ডতার জেরে গত ২০১৯ সালের ২৭ মে তাকে মারধর করে দুই ছেলে জালাল ও জামাল এবং দুই পুত্রবধূ। এ ঘটনায় মিরজান বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads