• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
রাণীরবন্দরে তাঁতশিল্প বিলুপ্তির পথে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

রাণীরবন্দরে তাঁতশিল্প বিলুপ্তির পথে

  • মো. শাহাদৎ হোসেন শাহ, দিনাজপুর
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০২১

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দরে ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প আজ বিলুপ্তের পথে। সুতা ও কাঁচামাল, পুঁজির অভাব এবং চোরাপথে আসা ভারতীয় নিম্নমানের (রঙ্গ-চঙ্গা) কাপড়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে একের পর এক তাঁতশিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। হাতেগোনা কয়েকজন যারা এ শিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছে তাদের বাপ-দাদার পুরোনো পেশা।

জানা গেছে, স্বাধীনতার পূর্বে চিরিরবন্দর উপজেলার বৃহত্তর রাণীরবন্দর, সাতনালা, ভূষিরবন্দর, গছাহার, আলোডিহি, বিন্যাকুড়ি, খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি, চন্ডিপাড়া কাচিনীয়াসহ অর্ধশত গ্রামের দুই হাজারের বেশি পরিবার তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখানে প্রায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল। তাঁতের টুকটাক শব্দে ঘুম ভাঙত। তাঁত শ্রমিকের কলরবে রাণীরবন্দর থাকত সব সময় সরগরম। এখানকার তৈরি গামছা, তোয়ালা, শাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগত মানের দেশজুড়ে বেশ কদর ছিল। এখানকার তাঁতশিল্পের কাঁচামাল সুতা সরবরাহে সদরপুর (রামডুবি) দশ মাইলে প্রতিষ্ঠিত হয় দিনাজপুর টেক্সটাইল মিল। তাঁতশিল্পকে ঘিরে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাণীরবন্দর কো. অপা. ইন্ডাস্ট্রিজ ইউনিয়ন লি. (হ্যান্ডলুম বোর্ড)। গ্রামীণ জনপদের উৎপাদনশীল এ জাতীয় শিল্পকে ধরে রাখতে স্থাপিত হয় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টার।

এ বিষয়ে রাণীরবন্দর তাঁত বোর্ড (বেসিক সেন্টার) এর লিয়াজোঁ অফিসার জানান, ১৯৯৯ সালে ২১৯ জন তাঁতীকে ২৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৪ টাকা, কিন্তু অর্জন হয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। অনাদায়ী রয়েছে ১৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ২১৯ জনের মধ্যে মাত্র ৪৬ জন ঋণ পরিশোধ করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads