• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

রাজ্জাক ঘূর্ণিতে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল ২০১৮

প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন রেকর্ড গড়া ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ভয়ঙ্কর তিনি। নিলেন ৬ উইকেট। আবদুর রাজ্জাকের স্পিন বিষে নীল বিসিবি উত্তরাঞ্চল। অন্যদিকে বিজয়ের হাসি প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলে। ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে উত্তরাঞ্চলকে ইনিংস ও ৬৩ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা জিতেছে মাশরাফি-রাজ্জাকদের প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। দুই মৌসুম পর বিসিএলে দক্ষিণাঞ্চলের এটি তৃতীয় শিরোপা।

শিরোপা জেতার সবচেয়ে বেশি সুযোগ ছিল বিসিবি উত্তরাঞ্চলের। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ন্যূনতম ড্র হলেই চলত। কিন্তু না। উল্টো ইনিংস ব্যবধানের হারে শিরোপা চলে যায় দক্ষিণাঞ্চলের ঘরে। জয়ের নায়ক ১১ উইকেট নেওয়া আবদুর রাজ্জাক। অনুমিতভাবে তিনিই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। হেরে যাওয়া ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট পেয়েছে উত্তরাঞ্চল। ম্যাচ জিতে দক্ষিণাঞ্চল পেয়েছে ১০ পয়েন্ট আর বোনাস ৮ পয়েন্ট। ৬ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্জন ৬৫ পয়েন্ট। ৬২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ উত্তরাঞ্চল।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল উত্তরাঞ্চল। জবাবে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। বুধবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় বিনা উইকেটে ৩২ রান তোলে উত্তরাঞ্চল। কিন্তু গতকাল তৃতীয় দিনের সকালে স্পিন বিষে নাকাল দলটি। ৩০ রানের ব্যবধানে তারা হারায় প্রথম ৭ উইকেট। যার মধ্যে রাজ্জাকের শিকার চারটি। সব মিলিয়ে ৪৩.২ ওভারে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস।

দলীয় ৬৫ রানে নেই সাত উইকেট। হারতে চলেছে উত্তরাঞ্চল তখন থেকেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। তবে সেটিকে বিলম্বিত করার চেষ্টা চালান আট নম্বরে নাম সোহরাওয়ার্দী শুভ। তিনি ফরহাদকে সঙ্গী করে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। অষ্টম উইকেট ভাঙে লাঞ্চের শেষ ওভারে। ইমরুল কায়েস বল হাতে নিয়ে জুটি ভাঙেন ২৯ বলে কোনো রান না করা ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে। শেষ দুই উইকেট রাজ্জাক তুলে নিলে অলআউট হয় উত্তরাঞ্চল। ব্যাট হাতে বলতে গেলে সবাই ব্যর্থ। শুভ ৪১, মিজানুর রহমান ২০, জুনায়েদ সিদ্দিকী ১৬, অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম করেন ১০। বাকিদের রান ছিল ১০-এর নিচে।

প্রথম ইনিংসে এক স্পেলে ২০.৩ ওভারে ৫ উইকেট নেন রাজ্জাক। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেন টানা ২১.১ ওভার বোলিং করে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নবম ম্যাচে ১০ বা তার বেশি উইকেট শিকার করলেন রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। অতিক্রম করেন এনামুল হক জুনিয়রের (৩২ বার) রেকর্ড। এ ম্যাচেই আবার জ্বলে ওঠে ৩৪ বার ৫ উইকেট শিকার করে নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন রাজ্জাক।

দ্বিতীয় ইনিংসে রাজ্জাকের সঙ্গে তিন উইকেট নেন সাকলাইন সজীব। ইমরুল কায়েস নেন একটি উইকেট। প্রথম ইনিংসে এক উইকটে পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটশূন্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ২৪টি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads