• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

রাশিয়ার প্রস্তুতি প্রায় শেষ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০১৮

বিশ্বকাপ কাছাকাছি পৌঁছালেই একটা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সবাই উঠেপড়ে লাগে- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে পারবে তো আয়োজক দেশটি? প্রস্তুতি নিয়ে এমন সমস্যা চরম আকারে দেখা দিয়েছিল ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে। সেবার অনেক ভেন্যুর কাজ শেষ হয় ২০১৪ বিশ্বকাপের পর্দা নামার পর। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত এবারের বিশ্বকাপ আয়োজক রাশিয়া। ৪০ দিন হাতে রেখেই দেশটি জানিয়ে দিল, অনন্য ও সফল এক বিশ্বকাপ আসর বিশ্ববাসীকে উপহার দিতে প্রস্তুত তারা। ফুটবল দুনিয়ার সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টের উত্তেজনায় বিশ্বকে মাতিয়ে রাখতে আয়োজনের সব কাজই প্রায় শেষ।

ফুটবল অনুরাগীদের বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপাতে সময়ের অপেক্ষায় এখন স্বাগতিক দেশটি। ক্রীড়ামোদীদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার এই সুখবরটাই আনুষ্ঠানিকভাবে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ‘২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ফুটবলের এই বৃহত্তম আসরের জন্য রাশিয়া এখন প্রস্তত’- ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির তদারকি বোর্ডের বৈঠক শেষে এমন তথ্য দিয়েছেন পুতিন। সঙ্গে এই রুশ নেতার প্রত্যাশা, ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাইয়ের বিশ্বকাপে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে রুশ ফুটবলাররাও ভালো করবে।

রুশদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি দেখে অভিভূত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। আয়োজনের সঙ্গে জড়িতদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রশংসা করে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার এই প্রধান কর্তাব্যক্তি বলেন, ‘বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের প্রতি আমার অভিনন্দন। ২০ বছর ধরে ফুটবলের এই মেজর টুর্নামেন্টের আয়োজনে কাজ করছি। এই বিশ্বকাপ আয়োজনে যে ধরনের প্রতিশ্রুতি, ত্যাগ ও পেশাদারিত্বের দেখা পেয়েছি তা সত্যিই অদ্বিতীয়।’

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় ইভেন্টে সারা দুনিয়া থেকেই ভক্ত-সমর্থকরা পা রাখবে রাশিয়ায়। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি তো গুরুত্ব পাবেই। ফুটবলামোদীদের অভয় দিয়ে পুতিন জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করবে। রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আরকেদি দেভোর্কোভিচ পর্যটকদের জন্য আরো সুখবর দিয়েছেন, বিশ্বকাপ চলাকালে হোটেল রুমের দরদাম মনিটরিং করবে সরকার এবং ব্যস্ততম গন্তব্যস্থলের মধ্যে ৭০০ বিশেষ ট্রেনে বিনা খরচে চলাচল করতে পারবে ফুটবলপাগল দর্শকরা। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের ৮৯ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads