• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
মেলে ধরার অপেক্ষায় বিজয়

এনামুল হক বিজয়

সংরক্ষিত ছবি

ক্রিকেট

মেলে ধরার অপেক্ষায় বিজয়

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৫ মে ২০১৮

সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। কিংবা ভাগ্য সহায় হয়নি। দুটোই বলতে পারেন। তাতে আক্ষেপ আছে এনামুল হক বিজয়ের। প্রায় আড়াই বছর পর ডিসেম্বরে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাট হাতে আসেনি কাঙ্ক্ষিত ইনিংস। মাশুল গুনলেন ফাইনাল ম্যাচে বাদ পড়ে। আক্ষেপ-হতাশায় একাকার বিজয় ব্যাটকে খোলা তরবারি বানালেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। রান ফোয়ারায় ভাসালেন দলকে। নিজেকে শানিত করলেন পুরোমাত্রায়। ফলে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে আবার ফিরেছেন তিনি। লক্ষ্য নতুন করে নিজেকে মেলে ধরা।

আফগান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর উপলক্ষে রোববার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাম্প। সেই ক্যাম্পে আছেন বিজয়ও। লক্ষ্য মূল স্কোয়াডে ঠাঁই পাওয়া। তার পেছনে আত্মবিশ্বাস হিসেবে কাজ করছে ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তুঙ্গ পারফরম্যান্স। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৭৪৪)। শীর্ষে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে বিজয়ের রান পার্থক্য ছিল মাত্র পাঁচ।

ক্যাম্পে শুরুর দিকে চলছে ফিটনেস নিয়ে কাজ। সে প্রসঙ্গে বিজয় বলেছেন, ‘লক্ষ্য ফিটনেসকে ঝালাই করে নিজেকে প্রস্তুত করা। কয়েক দিনের ব্রেক ছিল... তার আগে অবশ্য টানা খেলার মধ্যে ছিলাম। বিসিএল, এনসিএল, প্রিমিয়ার লিগ। রিকোভারি দরকার। ফিটনেসের দিক থেকে তৈরি হতে পারলে সামনে খুব ভালো সময় যাবে বাংলাদেশ দলের জন্য।’

আড়াই বছর পর জাতীয় দলে ফিরে ভালো করতে পারেননি বিজয়। এবার কী পরিকল্পনায় এগোচ্ছেন বিজয়- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করেছি নিজের প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে। যতটুকু ব্যাট করেছি অনেকে বুঝতে পারছে উন্নতি হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি আরো ভালো করার। প্রিমিয়ার লিগ খুব ভালো গেছে, ১৬ ম্যাচ খেলেছি। বিপিএল খেলেছি, এটা হয়তো টি-টোয়েন্টির জন্য কাজে দেবে। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি, সেটা দীর্ঘ পরিসরে কাজে দেবে। আশা করছি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবার নিজেকে মেলে ধরতে পারব।’

টপ অর্ডারে জায়গা পেতে বেশ লড়াই করতে হয়। আগের চেয়ে প্রতিযোগিতাও অনেক বেড়েছে। তা মানছেন বিজয়ও, ‘আসলে প্রতিযোগিতা সব সময় থাকা দরকার। প্রতিযোগিতা থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। পারফরম্যান্স বের হয়ে আসবে। আমি চাই জোর প্রতিযোগিতা হোক। এর মধ্যে যে ভালো করবে, আমি চাইব সে-ই বাংলাদেশ দলে থাকুক।’

জুনের প্রথম সপ্তাহে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আফগান স্কোয়াডে রয়েছেন রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের মতো তারকা স্পিনার। এদের প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, ‘সিরিজের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে একটা পরিকল্পনা হবে। ভিডিও অ্যানালাইসিস হবে। তারা বিশ্বমানের বোলার। তাদের দারুণ সব বোলার আছেন, ব্যাটসম্যানও। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানকে হেলা করার সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা সফল হচ্ছে। আমরাও সেভাবে বিশ্লেষণ করব। আফগানিস্তান সিরিজটা সহজ যাবে না। কঠিন হবে।’

দলে জায়গা পেলে কী করবেন? বিজয়ের দৃষ্টি অতীতের ভুল শুধরে নিজেকে প্রমাণ করা। তিনি বলেন, রানের অভ্যাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রানের মধ্যে থাকলে ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক, সব জায়গাতেই আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে থাকে। ভাগ্য কিছু কিছু সময় সহায় হবে, কখনো হবে না। কিন্তু প্লেয়াররা তো ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসবে। এ ছাড়া তো সুযোগ নেই। ঘরোয়া ক্রিকেট আমার ভালো গেছে। জাতীয় দলের হয়ে দুই ম্যাচ ভালো যায়নি। বাংলাদেশ দলও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি (ত্রিদেশীয় সিরিজ)। আগামীতে পারব না তেমন নয়। চেষ্টা করব যে ভুলগুলো করেছি জাতীয় দলে এবার সুযোগ পেলে তা শুধরে নেব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads