• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জের : সাব্বির

ক্রিকেটার সাব্বির হোসেন

সংরক্ষিত ছবি

ক্রিকেট

প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জের : সাব্বির

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৮

হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি বেশ উপযোগী। তবে ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা ঝলসে ওঠার দৃশ্য নেই। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই যা একটু আশার বাতি জ্বালিয়ে রেখেছেন। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির রহমান রুম্মন। যে ইনিংসটা আফগান সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে সাব্বিরকে।

নিদাহাস টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচের স্মৃতি নিয়ে গতকাল সাব্বির বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমার জন্য আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার ছিল। নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটা যেভাবে খেলেছি...আগের ম্যাচগুলোতে নিজেকে ওইভাবে প্রয়োগ করতে পারিনি। ফাইনালে যেভাবে চেয়েছি সেভাবে এক্সপোজ করতে পেরেছি নিজেকে।’ সফল হলে আগের ভুলগুলো ধরা পড়া প্রসঙ্গে সাব্বির বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস বড় জিনিস। রান করলে সব টেকনিক ঠিক থাকে। রান না করলে তখন ভালো শটে আউট হলেও প্রশ্ন উঠে টেকনিক খারাপ, ইত্যাদি। আমার কাছে মনে হয় রানের চেয়ে বড় কিছু নয়।’

নিষেধাজ্ঞার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা মেলে না সাব্বিরকে। জাতীয় দলে খেলেই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। কতটা চ্যালেঞ্জের বিষয়টি। সাব্বিরের মতে, ‘প্রতিটি দিনই আমার জন্য চ্যালেঞ্জের। প্রত্যেকটা সুযোগ যখন আসে মনে হয় এটা আমার নতুন চ্যালেঞ্জ। এটা গ্রহণ করাই আমার কাজ। সব সময় নতুন দিন হিসেবে কাজ করি। নতুন দিন হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করি।’ আফগান সিরিজের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে সাব্বিরের মূল্যায়ন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ছোট-বড় দল বলে কিছু নেই। আফগানিস্তান খুব ভালো দল হয়ে উঠছে। ওদের তিন-চারটা বিশ্বমানের প্লেয়ার আছে। আমাদেরও আছে। প্রত্যাশা করছি খুব ভালো সিরিজ হবে আমাদের জন্য।’

আফগানদের চেয়ে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রয়েছে বলে সাব্বির জানান, ‘অবশ্যই অভিজ্ঞতায় আমরা এগিয়ে থাকব। আফগানিস্তানের হয়তোবা তিন-চারজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। আমাদের অনেক ভালো-অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে যারা আইপিএল খেলে। আশা করছি অভিজ্ঞতা দিয়ে ম্যাচ জিততে পারব।’ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তিন ম্যাচে নিজের লক্ষ্য প্রসঙ্গে সাব্বির বলেন, ‘প্রত্যাশা হচ্ছে নিজের লক্ষ্যটা যেন ঠিক রাখতে পারি। গত দুই মাসে যে পরিশ্রম করেছি তা যেন মাঠে দেখাতে পারি এবং ইতিবাচক থাকতে পারি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আফগানিস্তান সিরিজে নিজেকে দেখতে চাই ভালো স্কোর করা ব্যাটসম্যান হিসেবে। গত তিন মাস যে কাজ করেছি টেকনিকের ওটা প্রয়োগ করতে পারলেই খুশি।’

আফগানিস্তানের এই মুহূর্তে সেরা দুই বোলার রশিদ খান ও মুজিব। দুই স্পিনারের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সম্পর্কে সাব্বির বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ১২০ বলের খেলা। প্রথম কয়েক ওভারে একটা পরিস্থিতি বুঝা যাবে। শেষ ছয় ওভার আরেকটি আবহ। মাঝে যাবে কিছু ওভার। আমরা যারা মাঝের ওভার খেলব, বল-টু-বল যদি রান করতে পারি। অন্তত ৪২ বলে যদি ৬০-৭০ করতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের লক্ষ্যটা ভালো হবে। আর যদি মনে করি এক ওভারে একটা চার আর একটা ছয় মারতে হবে বড় স্কোরের জন্য তাহলে টার্গেট কমে যাবে। উইকেট থ্রো না করে বলের মেধা হিসাব করে খেললে বড় স্কোর করতে পারব।’

ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলেও কীভাবে নিজেকে ধরে রাখা যায়, এ প্রসঙ্গে সাব্বিরের যুক্তি- ‘দুই মাস বাইরে ছিলাম। বিসিএল খেলতে পারিনি। মিস করেছি। প্রিমিয়ার লিগ মিস করেছি। এ সময় নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। টেকনিকের কিছু ভুল ছিল, ওইগুলো নিয়ে কাজ করেছি। কিছু সময় বাইরে থাকাটাও ইতিবাচক মনে করি। পরিবারে সময় কাটিয়েছি। আম্মু অসুস্থ ছিলেন। তাদেরকে সময় দিয়েছি। ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছি। সময়টা ভালো গেছে। আশা করি পরের কয়েকটা বছর ভালো যাবে আমার জন্য।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads