• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান কারস্টেন

পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন গ্যারি কারস্টেন

ইন্টারনেট

ক্রিকেট

স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান কারস্টেন

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৮

প্রথমে শোনা যাচ্ছিল তিনি ডিরেক্টর অব কোচিং। মানে কোচিং স্টাফদের হেড। পাশাপাশি কোচ-সংক্রান্ত নিয়োগের ব্যাপারে পরামর্শ দেবেন। তবে বাস্তব অবস্থা হলো, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের শুধুই পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার গ্যারি কারস্টেন। আর সেটা খুব স্বাধীনভাবেই করতে চান তিনি।

পরশু রাতে ঢাকায় এসেছেন ভারতের এই সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী কোচ। থাকবেন কয়েক দিন। কাজ করবেন বাংলাদেশের হেড কোচসহ অন্যান্য নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে। মানে কারস্টেনের মূল কাজ কোচিং স্টাফ নিয়োগে পরামর্শ দেওয়া। বিসিবির দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, কারস্টেন জাতীয় দলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, দল নির্বাচন, কোচিং ও জাতীয় দল সম্পৃক্ত আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নজরদারি করবেন।

অথচ শুরুর দিকে কারস্টেনের প্রস্তাবিত ভূমিকা ছিল আরো বড় আকারে। গত মাসে মালয়েশিয়ায় এসিসির সভায় কারস্টেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। সে আলোচনায় আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির ডিরেক্টর অব কোচিং পদে কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের কোচ, কোচিং স্টাফ ঠিক করা থেকে শুরু করে বিশেষায়িত ক্যাম্পের জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ আনা, একাডেমি ও অন্যান্য পর্যায়ের দলের অনুশীলন চাহিদা সবকিছু নিয়েই কাজ করার কথা ছিল তার।

কিন্তু চিত্র বদলে যায় পরে। আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন কারস্টেন। বিসিবিকে তিনি জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে তার অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ডিরেক্টর অব কোচিং পদে কাজ করা সম্ভব নয়। তার হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই। তিনি বড়জোর প্রধান কোচ নিয়োগ এবং প্রয়োজনে অন্যান্য কোচিং স্টাফ বাছাই ও নিয়োগে পরামর্শকের ভূমিকা নিতে পারেন। সেটিই হচ্ছে।

কারস্টেনের প্রসঙ্গে গতকাল মিরপুরে কথা বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন। কারস্টেনের ভূমিকা কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে গ্যারি কারস্টেন আপাতত বাংলাদেশ দলের একটি ‘ইন্টারনাল অডিট’ করছেন। সামনে আইসিসির যেসব টুর্নামেন্ট আছে, আইসিসি বিশ্বকাপ, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি; এগুলো সামনে রেখে কীভাবে বাংলাদেশ দলকে উন্নত করা যায়, কোন কোন জায়গায় কাজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছেন। তিনি বোর্ডকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন  দেবেন। একই সঙ্গে কোচ নিয়োগ নিয়েও তিনি কাজ করছেন। আমরা ইতোমধ্যে কয়েকজন কোচের নাম দিয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছি, গ্যারি কারস্টেনের কাছেও কিছু নাম আছে। আপাতত দলের পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর তিনি হয়তো তার পরামর্শ আমাদের দেবেন, কোন এরিয়াতে আমাদের বেশি কাজ করতে হবে এবং এরপর তিনি বলবেন কোন কোচ আমাদের জন্য বেশি কার্যকর হবেন।’

আইপিএল চলাকালীন তিনি কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুরের সঙ্গে। ঢাকায় এসে গতকাল বাংলাদেশ দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফি, তামিম ও মুশফিকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন কারস্টেন। তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান। এ প্রসঙ্গে সুজন জানান, ‘নির্বাচক, বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বসার পরিকল্পনা তার রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি খুব স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাচ্ছেন এবং সেভাবেই তিনি কাজ করছেন। তাকে শুধু আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি। তার যার সঙ্গে প্রয়োজন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি নিজেই মিটিং টাইম ঠিক করে নিচ্ছেন।’

কারস্টেনের পদ ও চুক্তি প্রসঙ্গে বিসিবির সিইও বলেন, ‘তিনি (কারস্টেন) পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। আগে আমাদের পরিকল্পনা ছিল তিনি দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, বিশ্বকাপ পর্যন্ত। প্রাথমিকভাবে তিনি সম্মতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ব্যস্ততার কারণে তিনি জানিয়েছেন যে, আপাতত কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যন্ত তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুরের আগেই চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads