• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত হচ্ছে হেড কোচ

বিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্যারি কারস্টেন

বাংলাদেশের খবর

ক্রিকেট

দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত হচ্ছে হেড কোচ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

প্রথম দিন হোটেল সোনারগাঁওয়েই আবদ্ধ ছিলেন গ্যারি কারস্টেন। কথা বলেছিলেন শীর্ষ তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে। সে তুলনায় দ্বিতীয় দিনটা বেশ ব্যস্ত কেটেছে বাংলাদেশ দলের এই পরামর্শকের। কথা বলেছেন দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান এবং স্থানীয় কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। সর্বশেষ কারস্টেন গিয়েছেন বেক্সিমকো কার্যালয়ে, যেখানে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে। গতকাল দিন শেষে চিত্র স্পষ্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই বাংলাদেশ দল হেড কোচ পেতে যাচ্ছে। ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই আলাদা কোচিং স্টাফ আসতে পারে। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকছেন গ্যারি কারস্টেন।

দুই দিন ধরে কারস্টেনের চলছে ইন্টারনাল অডিট। এরপর একটি প্রতিবেদন দেবেন তিনি বিসিবি বরাবর। তারপর হবে বাকি সব সিদ্ধান্ত। পরশু সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে গেছেন কারস্টেন। তবে গতকাল তা পারেননি। ধানমন্ডির বেক্সিমকো অফিসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার আগে হোটেলের লবিতে কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। যেখানে তিনি নিজের কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাকে বুঝতে হবে এখানে কীভাবে কাজ হয়েছে। আমি জানি চন্ডিকা খুব ভালো কাজ করে গেছে, তার সময় দল কীভাবে ভালো করেছে সেটাও একটা ব্যাপার। আমার কাজ যত দ্রুত সম্ভব কোচ নিয়ে আসা। কারণ অনেক দিন তো হয়ে গেছে। আশা করি সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই আমরা কাউকে বের করতে পারব।’

ঢাকায় দুই দিনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কারস্টেন বলেন, ‘আমার সুযোগ হয়েছে এখানে অনেকের সঙ্গে কথা বলার। আমার উদ্দেশ্য ছিল আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভেতরকার কিছু ব্যাপার খতিয়ে দেখা, যা শুনেছি তাতে আমি খুবই উল্লসিত। সবাই নিজেদের উন্নতি নিয়ে খোলামেলা মত দিয়েছে। আমার কাজ হচ্ছে দলের জন্য সেরা লোকটা বাছাইয়ে সাহায্য করা। আর সম্ভব হলে বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে সাহায্য করা। এটাই বড় ব্যাপার।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পর্যালোচনা কিংবা দলের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন কারস্টেন, ‘প্রতিটি দলই ভিন্ন। প্রতিটি দলের চ্যালেঞ্জগুলোও ভিন্ন। বাংলাদেশ খুবই সম্ভাবনাময় দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দুনিয়ার বড় বড় দলের বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছে। দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। তরুণেরা উঠে আসছে। আমি এই দলটার মধ্যেই এক ধরনের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে চাই। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চাই এই দলের জন্য সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা ঠিকঠাক আছে।’

ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলা প্রসঙ্গে কারস্টেনের মূল্যায়ন, ‘তারা বিশ্বাস রাখে। তারা জানে ক্রিকেট দুনিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে তারা খেলছে। আমি মনে করি, তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। সেই লক্ষ্যটা তারা পূরণ করতে চায়। তারা ভালো করতে চায়। আমি মনে করি এই ভালো করতে চাওয়ার খিদেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে কারস্টেনের সঙ্গে আলাপের পর বেক্সিমকো কার্যালয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘তিন সংস্করণের জন্য আলাদা কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে হেড কোচ থাকতে পারে একজনই।’ হেড কোচ নিয়োগে কেন এত বিলম্ব। এর পেছনে কারণ হিসেবে পাপন জানান, ‘প্রথমত বেশিরভাগ কোচ টেস্টে আগ্রহী নয়। আবার তিনটা ফরম্যাটে কোচকে একসঙ্গে চাচ্ছি, সেটা পূর্ণকালীন। কারস্টেন এখানে মনে করছেন, সাদা-লাল বলের জন্য কোচ আলাদা হলে ভালো। সেক্ষেত্রে একজন হেড কোচের অধীনে টেস্ট আর ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা স্পেশালিস্ট কোচ নেওয়া যায় কি না সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে।’ এটা শুধু ব্যাটিংয়ের জন্যই প্রযোজ্য। বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের জন্য আগের কোচিং স্টাফরাই কাজ করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads