• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
স্বপ্নের ফাইনালে সালমারা

দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে শিরোপার মঞ্চে পা রাখল বাংলাদেশ

ইন্টারনেট

ক্রিকেট

স্বপ্নের ফাইনালে সালমারা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১০ জুন ২০১৮

মালয়েশিয়ায় এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক সালমা খাতুন জানিয়েছিলেন তার স্বপ্নের কথা। ভালো পারফরম্যান্স করে ফাইনালে খেলার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। নারী দলের অধিনায়কের সেই কথা, অনেকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কারণ মাত্র কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচ হেরে দেশে ফেরেন তারা। কিন্তু এবার পুরো ভিন্ন রূপে সালমারা। সেই আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে শিরোপার মঞ্চে পা রাখল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ এশিয়ার পরাশক্তি ভারত। এর আগে ৬ আসরের শিরোপা জিতেছে দলটি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় কুয়ালালামপুরে শুরু হবে ম্যাচটি।

এর আগে লিগ পর্বের টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক মালয়েশিয়া। এ ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত হবে ফাইনাল। এমন সমকরণে স্বাগতিকদের ৭০ রানে বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে সালমার দল। কিনরারা একাডেমি ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৯ উইকেটে মাত্র ৬০ রানে শেষ হয় মালয়েশিয়ার ইনিংস। এদিকে একই দিনে পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।

যদিও এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল বেশ লজ্জাজনক ভাবে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় তারা। তবে এরপরই শুরু হয় নবঅধ্যায়। লিগ পর্বে টানা চার ম্যাচ জিতেছে নারী দল। এর মধ্যে ছিল পাকিস্তান এবং ভারতও।

মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট শুরু হয় ২০০৪ সালে, শ্রীলঙ্কায়। প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত মোট ৬ আসরের সবগুলোর শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারতীয় মেয়েরা। ২০০৮ পর্যন্ত এই আসর ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের। ২০১৮ নিয়ে টানা তিনবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হচ্ছে এশিয়া কাপ। আক্ষরিক অর্থে সবাইকে চমকে দিয়ে ফাইনালে এসেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

গতকাল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে শুরুটা ভালো করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান। ৯.৫ ওভারের ওপেনিং জুটিতে ৫৯ রান তোলেন তারা। আয়েশা ৩১ রানে আউট হলে ব্যাট করতে থাকেন শামিমা। এরপর অবশ্য তেমন বড় কোনো জুটি হয়নি। ৫৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন শামিমা। দলীয় ৮৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। দলীয় ১২৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ফাহিমা খাতুনের ১২ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশ দল পায় ১৩০ রানের পুঁজি। ১৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন উইনিফ্রেড দুরাইসিংগাম।

জবাবে দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় মালয়েশিয়া। বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে স্কোর বোর্ডে ৫০ রান যোগ করতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত পুরো ২০ ওভারই ব্যাট করে মালয়েশিয়ার মেয়েরা। যদিও হারিয়ে ফেলে ৯ উইকেট। ৬০ রানেই থেমে যায় দলটির ইনিংস। মাত্র ৮ রান দিয়ে প্রতিপক্ষের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান স্পিনার রোমানা আহমেদ। ম্যাচসেরা পুরস্কার জেতেন শামিমা সুলতানা।

আজ টানা সপ্তমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে ভারত। অন্যদিকে মর্যাদার এই ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি বাংলাদেশের মেয়েদের। এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াই বলে কথা। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা না হলেও লিগ পর্বে ভারতের বিপক্ষে জয় অনুপ্রাণিত করছে সালমাদের। আরো একবার ভারতকে বধ করে দেশবাসীকে ঈদ উপহার দিতে চায় বাংলাদেশ নারী দল। পারে কি না তাই এখন দেখার অপেক্ষা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads