• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
জয়ে ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি

ব্যাটিং অনুশীলন বাজে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরের

ছবি : ইন্টারনেট

ক্রিকেট

আগামীকাল থেকে ওয়ানডের লড়াই

জয়ে ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২১ জুলাই ২০১৮

ক্যারিবীয় সফরটা শুরু থেকেই হা-হুতাশে ছড়াছড়ি। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হতে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। প্রথম টেস্টে হারতে হয়েছিল ইনিংস ও ২১৯ রানে। দ্বিতীয় টেস্টে হারের ব্যবধান ১৬৬ রানে। টেস্টের লজ্জা বাঁচাতে এখন ওয়ানডে সিরিজ সামনে টাইগারদের, যা শুরু হবে আগামীকাল থেকে। তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচের জয় কিছুটা টনিক হিসেবে কাজ করবে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের।

পরশু রাতে সাবিনা পার্কে ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচে ইউডব্লিউআই ভাইস চ্যান্সেলর (ইউভিসি) একাদশকে ৪ উইকেটে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ, যা উইন্ডিজ সফরে প্রথম জয়ের সুবাতাস। ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র সুখস্মৃতি।

যদিও এই ম্যাচটিতে খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান ও নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২২৭ রান করে চ্যান্সেলর একাদশ। জবাবে ৩৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

সাবিনা পার্কে ম্যাচটি শুধু প্রস্তুতি ম্যাচই ছিল না, ছিল উৎসবের আবহও। জ্যামাইকার দুই কৃতী ক্রিকেটার, বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও সাবেক ফাস্ট বোলার প্যাট্রিক প্যাটারসনকে সংবর্ধনা দিয়েছে স্থানীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। গেইল খেলেছেন এই ম্যাচে, স্মারকও গ্রহণ করেছেন। তবে থাকতে পারেননি প্যাটারসন। তার হয়ে স্মারক গ্রহণ করেন জ্যামাইকার আরেক কৃতী সন্তান, বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।

টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। যদিও শুরুতে ঝড় তুলতে পারেননি গেইল। ২৯ রান করে তিনি মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড। এরপর মোসাদ্দেকের অফস্পিনে ক্রমেই খাবি খেতে হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। পাঁচ রানে ফেরেন নিকোলাস কার্টন। থিতু হয়ে যাওয়া আমির জাঙ্গু এলবিডব্লিউ ৩৬ রানে। ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে থাকা রোভম্যান পাওয়েলকে যখন ৬ রানে ফেরালেন, তখন ৬ ওভারে ৮ রান দিয়ে মোসাদ্দেকের উইকেট ৪টি!

চার-ছক্কায় শুরু করা আন্দ্রে রাসেলকে (১১) থামান কাটার স্পেশালিস্ট মোস্তাফিজ। ৮৯ রানে ৬ উইকেট নেই চ্যান্সেলর একাদশের। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। সপ্তম উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়েন ইয়ানিক ওটলি ও কাভেম হজ। শেষ দিকে দ্রুত রান বাড়ান ওটলি। শেষের আগের ওভারে ছক্কা মারার চেষ্টায় আউট হন ৫৮ রানে। চ্যান্সেলর একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৭ রান। মোসাদ্দেক চারটি, রুবেল তিনটি উইকেট লাভ করেন।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটা বাজেই। ইনিংসের তৃতীয় বলে আন্দ্রে রাসেলের শিকার এনামুল হক। দ্বিতীয় জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই জুটিতে আসে ৯০ রান। তখনই ছন্দপতন। হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট লিটন, ৪১ রানে। একটু পর শান্তও ফেরেন ৪৩ রান করে।

ব্যাটিং অনুশীলন বাজে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরের। মাত্র ১১ রান করে ফেরেন মোসাদ্দেকও। ফলে আবার ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন। অন্য পাশে তখন দারুণ খেলে চলেন মুশফিক। দুজনে মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের দিকে। লিটন ফিফটি করেন ৬১ বলে। ৭০ রান করে ফেরেন তিনি হজের বলে। জয়ের জন্য তখন দরকার মাত্র ১৪ রান। মুশফিক ফিফটি করেন ঠিক ৫০ বলেই। পঞ্চাশের পর ছুটেছেন আরো দ্রুতগতিতে। সিয়ারলেসকে টানা দুটি বাউন্ডারিতে শেষ করেছেন ম্যাচ। অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। আসে সাবলীল এক জয়।

গায়ানায় আগামীকাল থেকে শুরু হবে ওয়ানডের লড়াই। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৬ জুলাই একই ভেন্যুতে। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ ২৮ জুলাই বাসেত্রেতে।

বাংলাদেশ একাদশ : মাহমুদউল্লাহ, এনামুল হক, লিটন দাস, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান, আবু হায়দার, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম।

ইউভিসি একাদশ : ক্রিস গেইল, চ্যাডউইক ওয়ালটন, আন্দ্রে রাসেল, রোভম্যান পাওয়েল, ওশানে ওয়াল্টারস, কাভেম হজ, নিকোলাস কার্টন, ভিকাশ মোহান, জারলানি সিরলেস, ইয়ানিক ওটলি, আমির জাঙ্গু।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads