• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
এবার টি-টোয়েন্টির রোমাঞ্চ

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল

সংরক্ষিত ছবি

ক্রিকেট

এবার টি-টোয়েন্টির রোমাঞ্চ

  • মাহমুদুন্নবী চঞ্চল
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৮

টেস্টের হতাশা মুছে গেছে ওয়ানডেতে। প্রবল দাপটে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শুনিয়েছে মাশরাফি ব্রিগেড। এবার সামনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মাশরাফি নেই, অধিনায়ক এবার সাকিব। তবে স্বপ্নটা আগের মতোই আকাশছোঁয়া। সিরিজটা জেতা চাই। 

সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে শেষ ওয়ানডেতে মাশরাফিরা উড়িয়েছিলেন সিরিজ জয়ের রেণু। সেই ছোট আকৃতির মাঠেই এবার প্রথম টি-টোয়েন্টি। ম্যাচ শুরুর সময়টা বাংলাদেশের জন্য একটু বেখাপ্পা মনে হতে পারে। বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হবে প্রথম টি-টোয়েন্টির রোমাঞ্চ-উত্তেজনা। তা দেখতে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার বিকল্প নেই। দেরি করলেই আফসোস বাড়তে পারে।

ওয়ানডে সিরিজ জয়ের প্রেরণা টি-টোয়েন্টিতে নিতেই পারে বাংলাদেশ। তবে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটটি টাইগারদের জন্য এখনো অচেনা। নিত্য হেরে যাওয়াই যেন চিত্র। সর্বশেষ দেরাদুনের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সে কথাই বলে। যেখানে স্বপ্নঘুড়ি হয়েছিল ভোঁকাট্টা। আফগানদের সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ। প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে, তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে এক রানের হারের তীব্র আক্ষেপ। সেন্ট কিটসে আফসোস ও স্বস্তি দুটোর আমেজই রয়েছে। ওয়ানডে সিরিজের সফল ক্যাপ্টেন মাশরাফি নেই। যার অভাব পোড়াবে গোটা টাইগার শিবিরকে। কিছুটা স্বস্তির খবর, টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত ক্রিস গেইল এই ম্যাচে নাও খেলতে পারেন। 

গেইলের না থাকা নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যেমন বলেন, ‘ওর মতো খেলোয়াড় যে দলে থাকে, তাদের বিরাট সুবিধা, না থাকলে বিরাট অসুবিধা। আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো হবে যদি সে না খেলে।’ গেইল থাকলেও আত্মবিশ্বাসী সাকিব, ‘ওয়ানডেতে যেহেতু ওদের বিপক্ষে ভালো বল করে আসছি, বোলারদের ভালো আত্মবিশ্বাস থাকবে, ওদের বিপক্ষে ভালো বোলিং করতে পারি। ওদের দলের দিকে যদি তাকান, যত নাম বলবেন, বেশিরভাগই ভয় পাওয়ার মতো।’

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বলেই বাড়তি শঙ্কা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘিরে। পরিসংখ্যানেও এগিয়ে থাকছে ক্যারিবীয় শিবির। এই ফরম্যাটে ৬ বারের মোকাবেলায় তিনটিতে জয়ী তারা। বাংলাদেশের জয় দুটিতে। একটি ম্যাচে রেজাল্ট হয়নি। মজার বিষয় হলো, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সাক্ষাতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটাও ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। জোহানেসবার্গে বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে। আফতাব আহমেদ (৬২*) ও মোহাম্মদ আশরাফুলের (৬১) ব্যাট হেসেছিল পুরোদমে। সেই একাদশে খেলা তিনজন আছেন এখনো দলে। তারা হলেন তামিম, মুশফিক ও সাকিব।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয় ৩ উইকেটে, ২০১১ সালে মিরপুরে। হিসাব পরিষ্কার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো জয় নেই। মজার বিষয় হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দুটিই ম্যাচ হয়েছিল সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়ামে। যেখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ওয়ার্নার পার্কের পরিসংখ্যানে অনুমিতভাবে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজই। দুটি ম্যাচের মধ্যে একটি জয়ী ক্যারিবীয় শিবির (২০০৯ সালে)। বাকি ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত, ২০১৪ সালে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের শেষ মোকাবেলাও এই ম্যাচেই। যেখানে বৃষ্টিই শেষ হাসি হেসেছিল।

সেন্ট কিটসে প্রথম টি-টোয়েন্টি। তবে বাকি দুটি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। মার্কিন মুলুকে যা হবে বাংলাদেশের প্রথম কোনো ক্রিকেট ম্যাচ। কেমন হবে দুই দেশ মিলে ২২ গজের ২০ ওভারের লড়াই? ওয়ানডের মতো এই ফরম্যাটেও উত্তুঙ্গ ফর্মে ফিরুক তামিম-সৌম্যরা। ব্যাঘ্র গর্জন আর সংশপ্তকের দৃঢ়তায় মুখরিত হোক ওয়ার্নার পার্ক থেকে ফ্লোরিডা, সবার চাওয়াটা এখন এমনই। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads